তিন কৃষি আইনে বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচি হবে। তবে এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হল রাজধানী দিল্লিকে। শুক্রবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দিল্লির বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে কৃষকদের 'চাক্কা জ্যাম' পালন করতে আর্জি জানিয়েছেন কৃষক মোর্চা।
৬ ফেব্রুয়ারি ৩ ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম হবে। চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচি প্রসঙ্গে রাকেশ বলেছেন, 'এই কর্মসূচিতে অ্যাম্বুলান্স, স্কুলের গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়লে তাদের ছেড় দেওয়া হবে।
গত বেশ কয়েক মাস ধরে দিল্লি লাগোয়া সীমানায় কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন দেশের অন্নদাতারা। কৃষকদের কোণঠাসা করতে বিক্ষোভস্থল লাগোয়া এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা, জল, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাকেশ। এরই প্রতিবাদে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে অশান্তির ঘটনার পর দিল্লিকে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির বাইরে রাখার যে সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষকরা।
বুধবার কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতে পাঁচটি প্রস্তাব পেশ করা হয়, সেগুলি হল- তিন কৃষি আইন বাতিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যর সাংবিধানিক গ্যারান্টি, স্বামীনাথন রিপোর্টের বাস্তবায়ন, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় হামলার ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার এবং কৃষক নেতাদের সঙ্গে মোদী-শাহের আলোচনা। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ তিকাইত বলেন, সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সংযুক্ত কিষান ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার সিংঘু সীমানায় কৃষকদের উদ্দেশ্যে রাকেশ তিকাইত বলেছিলেন, 'আমাদের স্লোগান কানুন ওয়াপসি নহি তো ঘর ওয়াপসি নহি'। অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যদি কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়, তাহলে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু এই ইস্যুকে নিয়ে রাজনীতি যাতে না করা হয়, সে ব্যাপারে সাফ জানিয়েছেন রাকেশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন