রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) চুক্তিতে যোগ দিচ্ছে না ভারত। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের মূল যে সমস্যা এবং উদ্বেগের জায়গা তা এই চুক্তিতে প্রতিফলিত না হওয়ার কারণেই যোগদান করছে না ভারত। সূত্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, "প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তে দৃঢ় ছিলেন। কারণ, চুক্তিতে মূল সমস্যার সমাধানের কথা বলা হয়নি। ভারতের মূল স্বার্থ নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।"
উল্লেখ্য, রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ হচ্ছে একগুচ্ছ চুক্তি। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিশ্বের ১৬টি দেশ। এই ১৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে ১০টি আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্র এবং চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারত। ভারত এবং ১৫ টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের নেতারা সোমবার থাইল্যান্ডে 'আরসিইপি' তৈরির ক্ষেত্রে সাত বছরের আলোচনার সফল সমাপ্তি ঘোষণা করবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাঙ্ককে তিন দিনের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের সময় আরসিইপি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে বিলম্ব হয়েছে তার নেপথ্যে ভারতের "নতুন দাবি" এবং শুল্ক সম্পর্কিত বিষয়কেই দায়ী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘৩৫হাজার ভোটে জিতব’, চ্যালেঞ্জ তৃণমূল প্রার্থীর
কংগ্রেসের বিরোধিতা থাকা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, আরসিইপি-তে পারস্পরিক লাভজনক ক্ষেত্র থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সমস্ত পক্ষই লাভবান হয়। কারণ, এর মধ্যে ভারত এবং সমস্ত অংশীদারদের স্বার্থও জড়িত। উল্লেখ্য, দিনের শুরুতেই রাহুল গান্ধী মোদী সরকারের উদ্দেশে বলেন, প্রস্তাবিত আরসিইপি চুক্তির ফলে সারা দেশ সস্তার পণ্যে ভরে যাবে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরির যাবে। এমনকী পঙ্গু হবে ভারতের অর্থনীতিও। দু'দিন আগে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতিকে চরম সমালোচনা করে আরসিইপি চুক্তির চরম বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।
আরও পড়ুন- আইপিএসের ফোনে নজরদারি, সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে ছত্তিশগড় সরকার
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে আসিয়ান নেতারা আরসিইপি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই চুক্তিকে সমর্থন করে ২০১৩ সালে আলোচনা শুরু করেছিলেন।
Read the full story in English