আগামী বছরের আগে করোনা ভ্যাকসিন আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সংসদীয় কমিটিকে জানিয়ে দিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন যে, ২০২১ সালের শুরুর দিকে বাণিজ্যিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন মিলতে পারে। তবে সেই ভ্যাকসিন ভারতেও প্রস্তুত হতে পারে, আবার বাইরে থেকেই আনা হতে পারে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তরফে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের সুলভ মূল্যে করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম তৈরিতে জোর দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভেন্টিলেটর তৈরির কথা জানানো হয়েছে। স্থায়ী কমিটির মতে, দেশবাসীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রতিরক্ষার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন- ‘লাল ফিতের জট এড়াতেই’ ভ্যাকসিনের ঘোষণা, বিবৃতি আইসিএমআর-এর
ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন প্রস্তুতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে শুক্রবার বিস্তারিত জানান। এই বৈঠকে স্থায়ী কমিটির ৩০ সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'সংকটময় পরিস্থিতিতেও ভার্চুয়াল বৈঠকে বিভিন্ন দলের সদস্যরা উপস্থিতি থেকে ভারতীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। তবে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় কমিটির সদস্য যোগ না দেওয়ায় কোরাম হওয়া সম্ভব হয়নি।'
এ মাসের শুরুতেই আইসিএমআর-এর তরফে ঘোষণা করা হয় যে, আগামী ১৫ অগাস্টের মধ্যে করোনার টিকা বাজারে আসবে। দেশজুড়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ১২ হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে- আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গবের এই চিঠি প্রকাশ্যে এলে আশার সঞ্চার হয়। তবে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহলে নিন্দিত হয় সংস্থার ভূমিকা। প্রশ্ন ওঠে কোভ্যাকসিনের কার্যকরিতা নিয়ে। দেশজুড়ে চাপের মুখে নিজেদের অবস্থান এবং প্রকাশিত চিঠির ব্যাখায় তারা জানায়, লাল ফিতের জট এড়াতেই ওই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এদিন অবশ্য সব বিতর্কে জল ঢেলে সরকারি কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, একুশের আগে টিকা আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন