সারা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) কার্যকরের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সংসদের স্থায়ী কমিটিকে বিবৃতি দিয়ে জানালেন কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মার নেতৃত্বাধীন কমিটির পর্যবেক্ষণ, এনপিআর ও জনগণনা ঘিরে জনমানসে ভীতি ও অসন্তোষ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পেশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়েছে, এখনই এনআরসি লাগু নিয়ে কেন্দ্রের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগে অবিলম্বে এনআরসি লাগু হবে বলে ঘোষণা করেন। গত বছর ডিসেম্বরে সংসদের উভয় কক্ষে আইন পাস হয়। তারপরই প্রতিবাদে গোটা দেশ উত্তাল হয়। রক্তাক্ত হয় সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদ আন্দোলন। তারপরই প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন যে, দেশে দু’টি আইন কার্যকরের কথা ভাবা হয়নি। পরে করোনা আবহে এই নিয়ে আর তেমন কোনও আলোচনা হয়নি।
তাহলে কী দেশজোড়া বিক্ষোভ, আন্দোলনের চাপে সুর নরম করল মোদী সরকার? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সংসদে মঙ্গলবারের লিখিত বিবৃতি কী তারই ইঙ্গিত? প্রশ্ন উঠছে।
কেন্দ্রের দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘আদমশুমারিতে সংগৃহীত সমস্ত স্তরের তথ্যের গোপনীয়তা অবলম্বন করা হবে। শুধুমাত্র প্রশাসনিক স্তরে একত্রিত তথ্যই প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের আদম শুমারি সফলভাবে সম্পন্ন করতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারমূলক পদক্ষেপ করা হবে। এনপিআরও কী প্রশ্ন হবে তা খসড়া রয়েছে। তবে এনআরসি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
উল্লেখ্য, আসামে এনআরসি লাগু করা নিয়ে উত্তাল হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। এই প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ মনে করছেন, গোটা দেশে এনআরসি করার ক্ষেত্রে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না শাসকদল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন