করোনাভাইরাস হানার পর থেকে সব জায়গায় স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এয়ারপোর্টের অন্দর, অফিস, বাড়ি, গাড়ি স্যানিটাইজেশন করা হয় সবকিছুকেই। কিন্তু এতে বিশেষ কোনও লাভ নেই। হাত ধোয়া, মাস্ক পরিষ্কার রাখার জরুরি তবে করোনাভাইরাসকে রুখতে আলাদা করে ঘরদোর স্যানিটাইজেশনের প্রয়োজন নেই।
এর কারণ একটাই করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত। বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন কোভিড-১৯ যে বায়ুবাহিত এর প্রমাণ আছে। কিন্তু আভ্যন্তরীণ জায়গাগুলি থেকে, তা সে দেওয়াল হোক বা মেঝে কিংবা সিড়ির হাতল থেকে এ প্রমাণ নেই। তবে হ্যাঁ হয়তো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস মূলত সংক্রামিত হয় মানুষের মুখ থেকে মুখে, বাতাসের মধ্যে দিয়ে, হাঁচি-কাশির মধ্য দিয়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রেসপিরেটরি ইনফেকশন স্পেশালিস্ট ডা: কেভিন পি ফেনেলি এও বলেন, "আমার মতে এই সারফেস পরিষ্কার করতে গিয়ে অযথা অনেক সময়, এনার্জি, অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। বরং বায়ুবাহিত সমস্যাগুলি থেকে ভাবনাচিন্তা দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।" হংকংয়ের একদল বিশেষজ্ঞদের মত, বাড়িঘর, অফিস, রাস্তাঘাট স্যানিটাইজেশন সাধারণ মানুষকে করোনভাইরাস সম্পর্কে সুরক্ষার একটি মিথ্যা ধারণা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন, সব মাস্ক সুরক্ষা দিচ্ছে না, উৎসব মরসুমে বাড়ছে অ্যালার্জির প্রকোপ
কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এয়ারোসল বিশেষজ্ঞ শেলি মিলার বলেন, "আমি বুঝতেই পারছি না যে কেন কেউ ভাবছে যে পুরো ব্যক্তিকে স্যানিটাইজ করে জীবাণুমুক্ত করার অর্থ ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি কম হবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন