সরকারি চাকরির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল কর্নাটক। যদিও ভাইরাস ভিডিও ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু বিরোধীদের চাপে দলের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন রমেশ জারকিহোলি। ঘটনার তদন্ত করছিল সিট। জানা গিয়েছে, সেই তদন্তের কাজ শেষ করেছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মহিলার করা যৌন নিপীড়নের কোনও প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু, জারকিহোলির দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলার তদন্তে দেখা গিয়েছে, অভিযোগকারীনি জড়িত।
কর্নাটকের তৎকালীন জলসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জবরদস্তি সহবাসের অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা। সেই যৌন নিপীড়ন মামলার পুলিশি তদন্তে দেখা যাচ্ছে, মহিলার বক্তব্যের কোনও প্রমাণ নেই। উল্টে তদন্তে প্রকাশ, নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দাবি করলেও অভিযোগকারীনি আসলে ইঞ্জিয়ারিং-এর ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মাঝপথেই ওই কোর্স ছেড়ে দেয় সে।
তদন্ত অনুসারে কৌশলে নিজেকে স্টুডিওর কর্মী পরিচয় দিয়ে অভিযোগকারীনি মন্ত্রীর জারকিহোলির থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বাধের ছাবি তোলার অনুমতি চেয়েছিলেন। তারপরই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হন তিনি। তল্লাশিতে একটি মিনি ক্যামেরা মিলেছে। মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলতেই তা ব্যবহার করা হয় বলে পুলিশ মনে করছে। ওই মহিলাকে এই কাজ করতে সহায়তা করেছিল নরেশ গৌড়া ও শ্রাবন কুমার। এই ঘটনার পরই মন্ত্রীর কাছ থেকে টাকার দাবি করা হয় বলে প্রামাণ মিলেছে।
তদন্তের অনুসন্ধানে নিম্ন আদালতে রিপোর্ট দাখিলের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। হাইকোর্টকে জানিয়েছে সিট।
ঘটনার পর পরই মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছিলেন যে, 'এটা ভুয়ো ভিডিয়ো। ওই মহিলাকে চিনিও না আমি। ভিডিয়োটির ব্যাপারে জানিও না। ওই মহিলার সঙ্গে কখনও কথাও হয়নি। আমি মনে করি, আমি নির্দোষ। কিন্তু, নৈতিক জায়গা থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি। অভিযোগ ভিত্তিহীন। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হোক।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন