/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/08/Rohingya-refugee-camp.jpg)
দিল্লিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দু'রকম অবস্থান এবার প্রকাশ্যে। কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ পুরী জানিয়েছেন যে সমস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বক্করওয়ালার EWS ফ্ল্যাটে সরানো হবে। কিন্তু, এই ব্যাপারে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জিজ্ঞাসা করলে, মন্ত্রক জানিয়েছে যে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। মন্ত্রক তার একাধিক টুইটে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।
এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একাধিক টুইটে বলেছে, 'দিল্লি সরকার রোহিঙ্গাদের একটি নতুন জায়গায় সরানোর প্রস্তাব দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জিএনসিটিডিকে নির্দেশ দিয়েছে যে অবৈধ বিদেশি রোহিঙ্গারা তাদের বর্তমান অবস্থানে থাকবে। কারণ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণের ব্যাপারে কথা বলেছে।'
With respect to news reports in certain sections of media regarding Rohingya illegal foreigners, it is clarified that Ministry of Home Affairs (MHA) has not given any directions to provide EWS flats to Rohingya illegal migrants at Bakkarwala in New Delhi.
— गृहमंत्री कार्यालय, HMO India (@HMOIndia) August 17, 2022
এর আগে বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ পুরী টুইট করেন, 'যারা আশ্রয় চেয়েছে, ভারত সবসময়ই তাদের স্বাগত জানিয়েছে। একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে সমস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালায় EWS ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, তাঁদের রাষ্ট্রসংঘের unhcr-এর পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পাশাপাশি, সর্বক্ষণের জন্য দিল্লি পুলিশের সুরক্ষাও দেওয়া হবে।'
আরেকটি টুইটে পুরী লেখেন, 'যারা ভারতের শরণার্থী নীতির বিষয়ে জল্পনা ছড়ানোকেই নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করেছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের শরণার্থী নীতিকে সিএএ-এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন, তাঁরা হতাশ হবেন। ভারত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশন ১৯৫১-কে সম্মান করে। তাকে অনুসরণ করে এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আশ্রয় দেয়।'
আরও পড়ুন- বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ১০ দিনে ৪ বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
গত এক দশক ধরে দিল্লির মদনপুর খদ্দর ও কালিন্দী কুঞ্জে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বসবাস করছে। ২০১৮ এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত তাদের বাসস্থান দু'বার পুড়ে গেছে। তারপর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দিল্লি সরকারের দেওয়া তাঁবুতে বসবাস করছেন। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, দিল্লি সরকার শরণার্থীদের বর্তমান অবস্থানের জায়গাটিকে ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে।
Read full story in English