ভারত বিশ্বকাপের যে কোন ম্যাচে জয়ী হলেও দিল্লি-মুম্বইয়ের স্টেডিয়ামে ফাটানো যাবে না আতশবাজি। বিসিসিআইয়ের এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে ।
ভারতীয় ক্রিকেট দল আগামী ২ নভেম্বর মুম্বইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে । যেখানে দিল্লিতে পরবর্তী ম্যাচ ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। আগামীকালের ম্যাচে ভারত জিতলেও ফাটানো যাবে না আতশবাজি। এমনই সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের।
দিল্লি সহ চার রাজ্যকে বায়ুদূষণের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। দিল্লি ও মুম্বইয়ের বায়ুদূষণ রীতিমত ভয় ধরাতে শুরু করেছে। ভারতের অনেক শহরেই বাসিন্দাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ। দূষণের কারণে মানুষের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। দিল্লি-মুম্বই সহ আরও তিন রাজ্যের বায়ুদূষণের মাত্র নিয়ে রীতিমত চিন্তিত শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের মাঝেই বিরাট পদক্ষেপ বিসিসিআইয়ের। দিল্লি-মুম্বইয়ে মাত্রাছাড়া বায়ুদূষণ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
মুম্বই এবং দিল্লিতে বায়ুদূষণের কথা মাথায় রেখেই আসন্ন ম্যাচগুলিতে আতশবাজি না ফাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এই তথ্য জানিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলতে গিয়ে শাহ বলেন,"আমি এই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির কাছে উত্থাপন করেছি। তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মুম্বই এবং দিল্লিতে আসন্ন ম্যাচগুলিতে কোনও আতশবাজি ফাটানো হবে না। কারণ এর ফলে দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। বোর্ড পরিবেশের সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন”।
আবহাওয়া সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) অনুসারে, ৩১ অক্টোবর মুম্বাইতে বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ছিল 172। যা 'মাঝারি' মানে পড়ে। বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে AQI 260 এ পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে, 31শে অক্টোবর, বোম্বে হাইকোর্ট শহরের বায়ুর মানের অবনতির বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেয় এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছে হাইকোর্ট। আমরা যদি দিল্লির কথা বলি, এখানকার অবস্থাও বেশ খারাপ। ১ নভেম্বর আনন্দ বিহারে AQI 736 রেকর্ড করা হয়েছিল। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। দিল্লিতে আতশবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।