Advertisment

'সম্পূর্ণ লকডাউন হবে না', উদ্বিগ্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্বাস নির্মলার

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ শিল্পসংস্থাগুলিকে আশ্বস্ত করেছেন যে কেন্দ্র সরকার এখনই লকডাউন জারির কথা ভাবছে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Nirmala Sitharaman on India's Economic Growth, Union budget, Privatisation, Finance Minister

ভারতে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে কঠোর 'করোনা কার্ফু'। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নাইট কার্ফুও। দিল্লিতেও অবস্থা তথৈবচ। এই প্রেক্ষাপটে ফের উদ্বিগ্ন পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের শিল্পক্ষেত্র এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা।

Advertisment

গত বছর দেশব্যাপী লকডাউনের পর পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন যন্ত্রণার ছবি করোনাকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি মনে করে এবার করোনার দাপট বাড়তেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। দেশের একাধিক রেলওয়ে এবং বাস টার্মিনাসে ক্রমশ বাড়ছে ভিড়। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ শিল্পসংস্থাগুলিকে আশ্বস্ত করেছেন যে কেন্দ্র সরকার এখনই লকডাউন জারির কথা ভাবছে না। বরং ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন করে করোনা রাশে মনোনিবেশ করবে।

শিল্পসংস্থাগুলির এক উর্ধ্বতন কর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান যে রবিবার মন্ত্রকের তরফে একথা জানান হয়েছে যাতে শ্রমিকরা বিভ্রান্ত না হন। সরকার এখনই যাতায়াত পরিষেবা বন্ধ করবে না। তাদের আশ্বস্ত করতেই এই ঘোষণা।

নির্মলা সীতারমণ সাফ জানিয়েছেন, "দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তা সত্ত্বেও বলছি, বড় করে আর লকডাউন জারি করা হবে না। আমরা অর্থনীতিকে স্তব্ধ করতে চাই না। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁরা কোয়ারেন্টিনে আছেন, তাঁদের জন্য স্থানীয়ভাবে কনটেনমেন্ট জোনের মাধ্যমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা হবে। দেশ আর বড়সড় লকডাউনের পথে হাঁটবে না।"

কীভাবে দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে সে বিষয়ে শিল্প সংস্থাদের থেকে পরিকল্পনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, 'আমাদের আর লকডাউনের প্রয়োজন নেই।'

প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, 'ফের কঠিন সময় আসছে। টিকা নেওয়ার পরও সতর্ক থাকতে হবে। উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা মোকাবিলায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে নজর দিতে হবে। করোনা কার্ফু বজায় রাখা হোক। রাত ৯টা বা ১০টা থেকে ভোর ৫টা বা ৬টা পর্যন্ত করোনা কার্ফু করা হোক।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Nirmala Sitharaman Lockdown Migrant labourer Migrant labour
Advertisment