বেঙ্গালুরু ইদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থী পালন করা যাবে না। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এই মাঠ নিয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর আগে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিলেন যে কর্ণাটক সরকার বেঙ্গালুরু ইদগাহ মাঠকে দুই দিন- বুধ ও বৃহস্পতিবার গণেশ চতুর্থী উদযাপনের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এই বিষয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে একটি আবেদনের শুনানির সময় শীর্ষ আদালতকে একথা জানান সলিসিটর জেনারেল।
শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় জানায়, 'দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।' সেই কারণে, মামলাটি তিন সদস্যের বেঞ্চে পাঠান বিচারপতিরা। নতুন বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি এএস ওকা এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ, দ্রুত শুনানির জন্য মামলাটি প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের সামনে উল্লেখ করারও স্বাধীনতা দিয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানায় যে, বেঙ্গালুরু ইদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থী পালন করা যাবে না।
আরও পড়ুন- দেশে বাড়ছে আত্মহত্যা, বেশিরভাগই দৈনিক মজুর, উদ্বেগজনক রিপোর্ট প্রকাশ এনসিআরবির
গত ২৫ আগস্ট, কর্ণাটক হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল যে জমিটি শুধুমাত্র একটি খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি, সরকার এবং বিবিএমপি স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্যও ব্যবহার করতে পারবে। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, মুসলিম সম্প্রদায় উভয় ইদেই এই মাঠে নমাজ পাঠ করতে পারবে। এর একদিন পর, কর্ণাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আদেশ সংশোধন করে রাজ্য সরকারকেই জমির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অনুমতি দেয়।
কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ড ইদগা ময়দানে গণেশ চতুর্থী উত্সবের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ওয়াকফের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এই বিষয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চকে জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া না-হলে, ওখানে গণেশ চতুর্থীর আয়োজন ঘিরে 'অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা তৈরি করা হবে'। সিবালের দাবি, জমিটি কয়েক দশক ধরে মুসলমানরাই ব্যবহার করে আসছেন।
এর আগে সোমবার বিভিন্ন সূত্রের খবর ছিল যে কর্ণাটক সরকার ৩১ আগস্ট গণেশ চতুর্থীর জন্য বেঙ্গালুরুর বিতর্কিত ইদগাহ ময়দানে একদিনের প্যান্ডেল তৈরির অনুমতি দিতে পারে। তবে, সেই অনুমতি দেওয়া হবে মুজরাই বিভাগের সঙ্গে যুক্ত একটি মন্দিরকে। কোনও হিন্দু গোষ্ঠী বা স্থানীয় গোষ্ঠীকে নয়।