/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/Drone.jpg)
ধস বিপর্যয়ের পর দুদিন অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত ৩২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে। তবে এখনও ১৭০ জন শ্রমিক নিখোঁজ। মঙ্গলবার আরও ছটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশকর্মীও রয়েছেন, যাঁরা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। যত সময় এগোচ্ছে তপোবন এবং ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বাঁচার আশা ততই ক্ষীণ হচ্ছে।
এদিকে, তপোবন সুড়ঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন আটকে রয়েছেন। কোনওভাবেই মঙ্গলবার তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১.৯ কিমি দীর্ঘ সেই সুড়ঙ্গে ঢোকার মুখে কাদায় আটকে রয়েছে। দুদিন ধরে দিনরাত চেষ্টা করা হচ্ছে হড়পা বানের পর কাদা সরিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকার। উপায়ন্তর না দেখে এবার উদ্ধারকারীরা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন। যেমন হেলিকপ্টারে করে লেজার রশ্মি এবং তড়িৎচুম্বকীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুড়ঙ্গে মানুষের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। ক্যামেরা ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে সুড়ঙ্গের ভিতরে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হায়দরাবাদ স্থিত ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট লেজার ইমেজার পাঠিয়েছে। চপার থেকে সেই রশ্মি ফেলে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। মঙ্গলবার দিনভর চপার এলাকার উপর দিয়ে নজরদারি চালিয়েছে। কোনওভাবে যদি সুড়ঙ্গে ঢোকার অন্য কোনও পথ পাওয়া যায় তা খোঁজার চেষ্টা করেছে লেজার রশ্মি। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট পি সি মঞ্জুনাথ জানিয়েছেন, কাদার জন্য সুড়ঙ্গের মুখ আটকে। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।
এদিকে, এই বিপর্যয় প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, "কেন্দ্র-সহ রাজ্যের সবক’টি সংস্থা বিপর্যয়ের উপর নজর রেখেছে। সমন্বয় রেখেই উদ্ধারকাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীজি নিজে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। উত্তরাখণ্ডকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।" এদিন এই বিপর্যয়ে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে রাজ্যসভায়।