/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/surgical-strike.jpg)
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড ধ্বংস হয়েছিল (ফাইল ফোটো- শোয়েব মাসুদি)
২০১৬ সালের আগে কোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের তথ্য নেই সেনাবাহিনীর কাছে। ইউপিএ জমানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কতগুলি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে, সে কথা জানতে চেয়ে একটি আরটিআই ফাইল করা হয়। জম্মুর সমাজকর্মী রোহিত চৌধরি এ ব্যাপারে যে আরটিআই করেছিলেন, তার উত্তরে ভারতীয় সেনার মিলিটারি অপারেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছে, "২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগেকার কোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের তথ্য এই বিভাগের কাছে নেই।"
আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তানে ঠিক কতগুলি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পরে কতগুলি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে এবং এর মধ্যে কতগুলিতে সাফল্যলাভ করা গেছে।
আরটিআইয়ের জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এ ডি এস জাসরোতিয়া গত বছরের এপ্রিল মাসে বলেছিলেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনী ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়। এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে কোনও ভারতীয় সেনার জীবনহানি হয়নি।"
গত সপ্তাহে ইউপিএ আমলের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এর আগেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনমোহন বলেন, "আমাদের আমলেও বেশ কিছু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। আমাদের কাছে সেনা অপারেশনের অর্থ হল কৌশলগত বিষয় এবং ভারত-বিরোধী শক্তিকে মুখের মত জবাব দেওয়া, ভোট পাওয়ার কৌশল নয়।"
বিজেপি অবশ্য মনমোহনের দাবিকে প্রশ্ন করেছে। কংগ্রেসের "মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে" বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেনারেল ভিকে সিং। তিনি বলেন, "আমি যখন সেনা প্রধান ছিলাম, তখন কোন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলছেন আমাকে দয়া করে জানাবেন?"
২০১৬ সালে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে জঙ্গি শিবিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এ ঘটনার ঠিক ১১ দিন আগে উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার জেরে ১৯ জন সেনার মৃত্যু ঘটে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড ধ্বংস হয়েছিল এবং জঙ্গিদের প্রভূত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল।
এ ঘটনার কথা অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল বিজেপি দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর রাজনীতিকরণ করছে।
Read the Story in English