বস্তারে সিআরপিএফ বাহিনীর ওপর মাও হামলা গোয়েন্দা ব্যর্থতা নয়। সোমবার এই দাবি করেছেন ডিজি, সিআরপিএফ কুলদীপ সিং। শনিবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখনও পর্যন্ত ২২ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। যদিও সিআরপিএফ-এর ওপর এই হামলাকে বাহিনী বা গোয়েন্দা ব্যর্থতা মানতে নারাজ কুলদীপ সিং। তিনি বলেন, ‘যদি এটা ব্যর্থতা হত, তাহলে আরও জওয়ান শহিদ হতেন। মাওবাদীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে আরও প্রাণহানি ঘটতে পারত।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিআরপিএফ ডিজি বলেছেন, ’মাও প্রভাব আছে সেই জায়গা ঘিরেই অভিযান চলেছে। ফলে ওরা একটা ইতিবাচক অবস্থান পেয়েছিল। সেখান থেকেই বাহিনীর উদ্দেশে গুলি ছুঁড়তে থাকে মাওবাদীরা। আমাদের জওয়ানও যোগ্য জবাব দিয়েছে।‘
তাঁর দাবি, ‘সমপরিমাণ ক্ষতি মাওবাদীদের হয়েছে। গোয়েন্দা সুত্রের দাবি তিনটি ট্র্যাক্টরে তারা জখমদের সরিয়েছেন। কমপক্ষে ২৫-৩০ জন মাওবাদী জখম হয়েছেন। এক ডজন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে।‘
এদিকে, আসামের প্রচার কর্মসূচীকে কাটছাঁট করে ছত্তিশগড়ের মাওবাদী হামলায় নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে ফিরে আসেন অমিত শাহ। বিজাপুরে গুলির লড়াইয়ে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। শাহ সাফ জানান, মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই চলবে এবং এই লড়াই চূড়ান্ত পরিণতি পাবে।
সুকমা-বিজাপুর সীমানায় মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত ২২ জন জওয়ানকে জগদলপুরেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অমিত শাহ। এরপর বিজাপুরে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যাবেন বাসাগুড়ায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে। রায়পুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করে আজই দিল্লি ফিরবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ বলেছেন, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তি, উদ্যম ও তীব্রতা দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে এবং তা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। সুকমা-বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালায় মাওবাদী। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। এই গুলির লড়াইয়ে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩১ জন।
বিজাপুরে জওয়ানদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা, তাতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই দাবি উড়িয়ে দেন সিআরপিএফ প্রধান। তাঁর দাবি, জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ২৫-৩০ জন নকশালের মৃত্যু হয়েছে। কুলদীপ সিং বলেন, “অভিযানে নিহত নকশালদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তা ২৫-৩০ জন হবেই। তিনটি ট্রাকে করে দেহ নিয়ে আসা হয়েছে।”