জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউন জারি নয়, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এদিন বলেন, ''করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কয়েকটি পদক্ষেপ করতে চায় সরকার। তবে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়বে এমন কোনও কাজ করবে না সরকার।''
করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ করোনা আক্রান্ত হন কেজরি। বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, ''করোনামুক্ত হওয়ার পর ফের কাজে যোগ দিলাম।'' শনিবারই দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গতকাল দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ১৮১ জন।
আরও পড়ুন- কোভিড শঙ্কা, আজ বিকেলে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী
একদিনে দিল্লিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। করোনা মোকাবিলায় দিল্লিতে উইকেন্ড কার্ফু জারি হয়। শুক্রবার মাঝরাত থেকে চালু হওয়া কার্ফু চলবে সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। যদিও রবিবার গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতে যাওয়া ভক্তদের জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বেলাগাম সংক্রমণ, একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার
এদিকে, দিল্লিতে চিকিৎসকদের মধ্যে মারাত্মকভাবে ছড়িয়েছে করোনা। দিল্লির ৬টি বড় হাসপাতালে সাড়ে সাতশোর বেশি চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও হাসপাতালগুলির শতাধিক নার্স ও প্যারামেডিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একসঙ্গে এত চিকিৎসক, নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দিল্লিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন- ওমিক্রনের চোখ-রাঙানি, দেশে ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিত ৬৬১, মোট আক্রান্ত ৩৬২৩
গোটা দেশেই করোনার সংক্রমণ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ৩২৭। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। শনিবার পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৬২৩। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১।