করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্র। নাইট কার্ফু এবং লকডাউনের ভরসায় সেই রাজ্যে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। এবার তাই পাঁচ স্তরে রাজ্যে ‘আনলক-পর্ব’ শুরু করছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার।
সংক্রমণ হার, হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা এবং অক্সিজেন জোগানের বিষয়টি মাথায় রেখে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে মারাঠা মুলুকে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের যে সব জেলায় সংক্রমণ নেই, সেই জেলাগুলিকে প্রথম ভাগের তালিকায় রাখা হয়েছে। ওই তালিকায় ঠাণে-সহ রয়েছে মোট ১৮টি জেলা। রাজধানী মুম্বই রয়েছে দ্বিতীয় ভাগে। সংক্রমণ হার কতটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তার ভিত্তিতেই বিভিন্ন জেলা থেকে ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে লকডাউন। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। তবে আপাতত বন্ধই থাকছে বম্বে এবং শহরতলির পরিবহণ মেরুদন্ড লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
যদিও, এদিন বিকেলে উল্টো সুর মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের। সিএমও তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা, রাজ্যজুড়ে চলা লকডাউন বিধি নিষেধ কোথাও তোলা হয়নি। বিধি শিথিলের বিষয়টি বিবেচনাধীন এবং এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর।
বুধবারের হিসেব অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ হার ৮০ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল ওই রাজ্যে প্রায় ৬৯ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন। বুধবার সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫,১৬৯।
এদিকে, বিপাকে পড়েছেন বলিউডের তারকাজুটি দিশা পাটানি এবং টাইগার শ্রফ। তাঁদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল মুম্বই পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কোন অভিযোগে আইনি বিপাকে পড়লেন তাঁরা? দিশা-টাইগারের বিরুদ্ধে লকডাউন বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অপরাধের ভিত্তিতেই মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন অবধি লকডাউন মুম্বইতে। অত্যাবশকীয় পণ্যের জন্য সকাল ৭টা থেকে ২টো পর্যন্ত বাজার খোলা রাখার নিয়ম জারি হয়েছে। আর সেই সময়েই বাইরে গিয়েই বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি করে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন দিশা এবং টাইগার। বেলা ২টোর পর কেন বাড়ি থেকে বাইরে বেড়িয়েছিলেন? তার যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। আর বলিউডের তারকাজুটির কাছ থেকে কোনওরকম উপযুক্ত উত্তর না পেয়েই পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। জামিন যোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন