ভারতে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই, দরকার টিকাকরণ প্রক্রিয়া জোরদার করা। এইমস-এর ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া এই দাবি করেছেন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এ দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত তার প্রভাব মেলেনি। উল্টে দেশের কোভিড গ্রাফ অনেকটাই স্বস্তিজনক। ডাঃ গুলেরিয়ার মতে, ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে।
ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, 'টিকাকরণ এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় থমকে রয়েছে। কিন্তু তারপরও সংক্রমণের ব্যাপকতা চোখে পড়ছে না। আমাদের সেরো-পজিটিভিটির হার খুব বেশি। এইগুলিই ইঙ্গিত করছে যে বর্তমানে ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের দরকার নেই। তবে, ভবিষ্যতে আমাদের এর প্রয়োজন হতেই পারে। কিন্তু এখনই বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই।' তাঁর পরামর্শ, 'আমরা সুরক্ষিত। টিকার দু'টি ডোজই যাতে দেশের সব মানুষ নেন সেই বিষয়টি আমাদের সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। ভারতে যথেষ্ট পরিমাণ টিকাকরণ হলে জাতি হিসাবে আমরা সুরক্ষিত থাকবো।'
তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কে প্রমাদ গুনছিল দেশ। কিন্তু, উৎসবের মরসুম প্রায় পার হলেও করোনা প্রকটভাবে থাবা বসায়নি। এনিয়ে এইমস-এর ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, 'টিকাকরণের হার যত বাড়ছে মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে দ্বিধা ততই কমছে। সংক্রমণ, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বা করোনায় মৃত্যু এখন নিম্নমুখী। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা প্রতিদিনই কমছে। হয়তো আমরা তৃতীয় তরঙ্গের রেশ এড়াতে সক্ষম হয়েছি।'
আরও পড়ুন- ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা-গ্রাফ, এক লাফে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু
তবে, অসতর্ক হলেই বিরপদ। বাড়ে বাড়ে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ডাঃ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, 'সংক্রমণ এখনই পুরোপুরি চলে যাবে না। স্থানীয়ভাবে করোনার সংক্রমণ ঘটবে। কিন্তু, তা কখনওই প্রথম বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মত আকার ধারণ করবে না।'
বুস্টার ডোজের বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভি কে পাল। তাঁর কথায়, 'অতিরিক্ত ডোজেরর বিষয় যখন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন এটি সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। এর অনেক দিক রয়েছে। এটি বিভিন্ন ভ্যাকসিনের জন্য আলাদা হতে হবে। A-এর ডেটা B-এর জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। আরেকটি প্রশ্ন বুস্টার ডোজের মেয়াদ। বুস্টার ডোজ কী ৬ মাস, নাকি ৯ মাসের জন্য হবে সেটাও দেখা প্রয়োজন। আমরা পদ্ধতিগতভাবে ডেটা দেখছি, কীভাবে এটি করা দরকার তা আমরা দেখছি। এখন পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত মেলা ধারণা অনুযায়ী দেশবাসীকে টিকার দুটি ডোজ দিলেই অনেকটা সুরক্ষিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এটাই সম্পূর্ণ নয় বলেই মনে করছি। অনেকেই এখনও টিকার প্রথম ডোজ পেতেই হাপিত্তেশ করে বসে রয়েছেন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন