'আমাদের জায়গায় অন্য দেশগুলো থাকলে কী করত? অন্যের কাছ থেকে ভারতের বাকস্বাধীনতা শেখার কোন প্রশ্নই আসে না', ভারত-কানাডা বিবাদের মাঝে গর্জে উঠলেন বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ভারতের অবস্থান আবারও বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছেন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ধারণা সম্পর্কে ভারতকে অন্যদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার দরকার নেই, হুঙ্কার জয়শঙ্করের। বিদেশমন্ত্রী কানাডা সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, 'মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হিংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়'।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাঁচ দিনের সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় তিনি ভারত-কানাডা বিরোধ নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে কানাডাকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, 'বাক স্বাধীনতা কাকে বলে অন্যের কাছ থেকে শেখার দরকার নেই'। তিনি বলেন, 'কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন আছে যারা কানাডায় বসে ভারতের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে'।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, 'এস জয়শঙ্কর বলেছেন যে কানাডা আমাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করেছে, যার প্রতিক্রিয়া আমরাও দিয়েছি। তিনি বলেন, 'এটা ভারত সরকারের নীতি নয়, আমাদের যদি কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেওয়া হয় তাহলে আমরা তা বিবেচনা করতে প্রস্তুত'।পাশাপাশি জয়শঙ্কর বলেন, 'বাক স্বাধীনতা কি তা আমাদের অন্য দেশের কাছ থেকে শেখার দরকার নেই'। বাকস্বাধীনতাকে কখনই হিংসাত্মক কার্যকলাপ উস্কে দেওয়ার জন্য ব্যাবহার করা সঠিক নয়। এটা স্বাধীনতার অপব্যবহার'।
একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে জানতে চান, 'অন্যান্য দেশগুলি যদি ভারতের পরিস্থিতিতে থাকত, তাদের কূটনীতিক, দূতাবাস এবং নাগরিকরা হুমকির মুখে পড়ত এবং তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকত, তখন সেই দেশ কী অবস্থান নিত'? বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, 'ভারতের জন্য কানাডা এমন একটি দেশে পরিণত হয়েছে যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। কানাডা হয়ে উঠেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল। কানাডায় যা ঘটছে তা স্বাভাবিক নয়'।
চলতি বছরের জুলাই মাসে, খলিস্তান সমর্থকদের একটি দল সান ফ্রান্সিসকোতে কনস্যুলেটকে নিশানা করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনার পর আমেরিকা এর তীব্র নিন্দা করেছে। সেই বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর।