২০২২-কে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে নতুন করে কোনও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। হিমাচলই দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য, যেখানে যোগ্য সব নাগরিকই করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের এই কৃতিত্বে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisment
দেশে কাঁপুনি ধরাচ্ছে করোনা। নতুন করে রাজ্যে-রাজ্যে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি। বেশ কয়েকটি রাজ্যে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে। নতুন করে জারি হচ্ছে বিধি-নিষেধ। নাইট কার্ফু, কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি হচ্ছে রাজ্যে-রাজ্যে। জমায়েত হয় এমন সব ধরনের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
এই আবহে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে হিমাচল প্রদেশ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নতুন করে কোনও বিধি-নিষেধ আরোপ করছে না রাজ্য সরকার। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর বলেন, ''রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমরা ফের পরিস্থিতি নতুন করে পর্যালোচনা করব।'' হিমাচল প্রদেশে এক ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিললেও চিকিৎসার পর বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি-শাসিত অন্যান্য অনেক রাজ্য নাইট কার্ফু ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র পর্যটন বাঁচাতেই কি বিধি-নিষেধর পথে হাঁটছে না হিমাচল? উত্তরে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''পর্যটনের উপর আমাদের অর্থনীতি নির্ভরশীল। কোভিড আমাদের অর্থনীতিকে আঘাত করেছে। হোটেল মালিকরা একটি উপায় খুঁজে বের করতে আবেদন করেছিলেন। আমরা তাঁদের কোভিড-প্রোটোকল মেনে চলতে বলেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে রাজ্যে যা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলছেন প্রত্যেকে। রাজ্যের বাসিন্দা হোন বা পর্যটক, হোটেলের ভিতরে থাকুন বা বাইরে। এমনকী ওয়েটাররাও সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছেন।''
হিমাচলই একমাত্র রাজ্য যেখানে যোগ্যরা টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। তাঁর প্রশাসনের এই কীর্তিতে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। এবার রাজ্যজুড়ে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।