সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর ঠিক এক দিন আগে ১৯ জুলাই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যাকে ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। এমনকী মণিপুরে ২ কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর নিন্দা জানিয়েছে আমেরিকাও। চাপের মুখে পড়ে বিবৃতি দিতে হয় খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। সংসদে মোদীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলি। ইতিমধ্যে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাবও। এর মাঝেই স্ত্রীর উপরে হওয়া ভয়ংকর নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া অসম রেজিমেন্টের প্রাক্তন সুবেদার বলেন, “কেউ আমাদের কথা বিশ্বাস করেনি, ঈশ্বর ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন যাতে প্রকৃত সত্য সামনে আসে’।
ঘটনার পর ১৮ মে কাংপোকপি জেলার সাইকুল থানায় একটি জিরো এএফআইআর দায়ের করা হলেও পুলিশ-প্রশাসনের তরফে মেলেনি একটা ফোনও। প্রাক্তন এই সেনাকর্মী বলেন, “ সেদিন ভিডিও ভাইরাল না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ-প্রশাসনের তরফে একটা ফোন পর্যন্ত পাইনি, তদন্ত তো দুরের কথা’। তিনি আরও বলেন, "অনেক আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগে, আমরা যখন বারে বারে পুলিশকে জানিয়েছিলাম, তখন কেউ আমাদের কথা বিশ্বাস করেনি,"।
এখন অবসরপ্রাপ্ত তিনি। ৩০ বছরের দীর্ঘ ‘আর্মি ক্যারিয়া্রে’ দেশকে রক্ষা করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে অসম রেজিমেন্টে একজন সেনা হিসাবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন তিনি এবং কর্মজীবনের শেষের দিকে সুবেদার হিসাবে তিনি তার গ্রামকে গর্বিত করেন এবং বাহিনীতে যোগ দিতে তরুণদের অনুপ্রাণিতও করেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে শান্তির অংশ হিসাবে শ্রীলঙ্কায় সেনা অভিযানেও তিনি অংশ নেন। তিনি সৈন্য সেবা পদক, অপঃ বিজয় পদক, দেশ সেবা পদক সহ বেশ কয়েকটি পদক পেয়েছেন।
১৯ জুলাই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, সরকারের দু'জন আধিকারিক নির্যাতিতদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পুলিশের একটি দল গত সপ্তাহে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। যৌন নিপীড়নের দিন, ২১ বছর বয়সী তরুনীর বাবা এবং ছোট ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। তরুণীর মা, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "একজন মা হিসাবে, আমি শক্ত থাকার চেষ্টা করছি যাতে আমার মেয়ে ভাল এবং সুস্থ থাকে। গত দুই সপ্তাহে প্রচুর মানুষ আসছেন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমাদের এখন পর্যাপ্ত সুরক্ষার মধ্যে রাখা হয়েছে।”তিনি আরও বলেন, "এত কিছু হওয়ার পরেও কীভাবে দুটি সম্প্রদায়ের সহাবস্থান সম্ভব’।