জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনাবাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার পর সেনা হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে ৩ সাধারণ নাগরিকের। সেই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে পুঞ্চ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে রয়েছে রাজনাথ সিং সহ সেনা প্রধানকে। ২২শে ডিসেম্বর সেনা হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তার প্রথম মন্তব্যে, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে "এই ঘটনার সাথে জড়িতদের কোন ভাবেই রেয়াত করা হয়ে না"।
ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেন, “আইন তার নিজস্ব পথে চলবে। যেই হোক না কেন এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না"।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিপ্তে জনসাধারণ এবং প্রশাসনের মধ্যে আস্থার ঘাটতি সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "J&K প্রশাসন তাদের আস্থা ধরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং আমি নিশ্চিত করব প্রশাসনের ওপর স্থানীয় মানুষের আস্থা বজায় থাকবে।" তিনি যোগ করেছেন যে সেনাবাহিনীও ঘটনার বিষয়ে একটি কোর্ট অফ এনকোয়েরি শুরু করেছে। ঘটনার পর জম্মু কাশ্মীর পুলিশ এই মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
২১ শে ডিসেম্বর সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় চার সেনা নিহত হয়, নিরাপত্তা বাহিনী সংলগ্ন গ্রাম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমপক্ষে নয়জন সাধারণ মানুষকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে। এর মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় রাজৌরির একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর ২৭ ডিসেম্বর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে রাজৌরি যান এবং নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, তাদের ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রশাসন প্রতিটি পরিবারকে ২০লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, একটি জমি এবং পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি আহতদের প্রত্যেকের জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও রয়েছে।