স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নয়া নির্দেশ অনুসারে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির ভিতর মাস্ক না পরা থাকলে দিতে হবে না কোন জরিমানা। দিল্লি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (DDMA) ঘোষণা করেছে জনসমক্ষে মাস্ক না পরার ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ ২০০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শুক্রবার বৈঠকের ভিত্তিতে শনিবার এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দিল্লি সরকার এর আগে ব্যক্তিগত চারচাকা গাড়িতে মাস্ক পরার যে নির্দেশ জারি করেছিল তার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল সরকারের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এরপরই তড়িঘড়ি দিল্লি সরকার ঘোষণা করে যে চার চাকার গাড়িতে একা ভ্রমণকারীদের মাস্ক পরার দরকার নেই। দিল্লিতে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও মাস্ক পরা।, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং যাবতীয় কোভিড সুরক্ষা বিধির ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনার সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের সঙ্গে দিল্লিতেও উঠে গেল বিধিনিষেধ। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ এই প্রসঙ্গে জানান, ”সংক্রমণ কমেছে ঠিক, কিন্তু তাও সতর্ক থাকতে হবে। সরকারও এই বিষয়ে সজাগ থাকবে। মানুষ যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন সেই দিকে নজর রাখবে দিল্লি সরকার।
কী কী বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হল? দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১ এপ্রিল থেকে সব স্কুল খুলে দেওয়া হবে। পড়ুয়ারা স্কুল ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করতে পারবে। যদিও কেজরিওয়াল জানান, ”সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর প্রসঙ্গে অভিভাবকদের মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে।” তুলে নেওয়া হবে নৈশ কারফিউ। আগামী সোমবার থেকেই দিল্লিতে আর থাকছে না নৈশ কারফিউ। যদিও মাস্ক না পরলে জরিমানা বজায় থাকছে। তবে কমছে জরিমানার অঙ্ক। মুখে মাস্ক না থাকলে ১০০০ টাকার বদলে এবার থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। এছাড়াও রাত পর্যন্ত সমস্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। যদিও কত জন ব্যক্তি একসঙ্গে একটি জমায়েতে অংশ নিতে পারবেন সেই বিষয়ে এদিন কোনও ঘোষণাই করা হয়নি। তবে এই ছাড়গুলো কার্যকর হবে যদি পজিটিভটি রেট ১ শতাংশের নীচে থাকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভালা একটি চিঠিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জানান,”কোভিড সংক্রমণ নিম্নমুখী হচ্ছে। সেই কারণে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা ভাবা উচিত। ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখে ব্যবসা-বাণিজ্য আবার শুরু করা যেতে পারে।”
দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, ”কোভিড অতি-মারীর কারণে মানুষ অনেক ব্যবসায়িক ক্ষতি সহ্য করেছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।” এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ।