দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহ দাপট। এই পরিস্থিতিতে ফের রেল পরিষেবা বন্ধ হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। যা নিয়ে শুক্রবার মুখ খুললো রেলমন্ত্রক। স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, করোনার বৃদ্ধির জেরে আপাতত রেল পরিষেবা কমানো বা বন্ধের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে, যেসব স্টেশন থেকে অতি দূরত্বে ট্রেন যায় এমন ৬টি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
কী ঘোষণা রেলের?
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঘিরে উদ্বেগ তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে নাইট কার্ফু ও আঞ্চলিক কনটেনমেন্ট জোনের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ফের লকডাইনের সম্ভাবনার প্রমান গুনছে দেশবাসী। এই অবস্থায় কী তাহলে ফের থমকাবে রেলের চাকা? রেলমন্ত্রকের তরফে সেই সম্ভাবনা আপাতত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মার তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'গ্রীষ্মে যে পরিমাণ ভিড় রেলের উপর থাকে এবারও তাই অটুট রয়েছে। এখনই উদ্বেগেক তেমন কিছু নেই। আপাতত রেল পরিষেবা হ্রাস বা তা বন্ধের কোনও পরিকল্পনা নেই। বেশি চাহিদা থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রেন চালানো হবে। রেলের উপর রাশ রয়েছে, যা কমাতে ভেস কয়েকটি রুটে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
মহারাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ চরমে। গত সপ্তাহেই এ রাজ্যের বহু শহরে কোভিড নিয়ন্ত্রণবিধি জোরদার করা হয়েছে। লকডাউনের আশঙ্কা করে সে রাজ্যে কর্মরত পরিয়ায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন। এতেই রেলের উপর রাশ বেড়েছে বলে মে করা হচ্ছে। তবে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত রেল বন্ধের কোনও আর্জি মন্ত্রকের কাছে করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোয়ান ভাইরাস সংক্রমণ। শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৬৮। করোনা হানায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। গত এক দিনে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৭৮০ জনের। ভারতে করোনা অ্যাক্টিভ কেস এখন ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০৮। দেশে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৪২।
সংক্রমণ রুখতে বিদেশে ভ্যাকসিন রফতানির বদলে বয়সসীমার গণ্ডি অতিক্রমণ করে সকল দেশবাসীকে টিকাকরণের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন