মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ায় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে সন্দেহভাজনদের ঘরবাড়ি। প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলট। ক্ষুব্ধ গেহলট স্পষ্ট জানান, তদন্ত ছাড়া কোনও মুখ্যমন্ত্রী এমনকী প্রধানমন্ত্রীরও এভাবে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার অধিকার নেই। একজন ব্যক্তিরও ঘর ভেঙে দেওয়ার অধিকার নেই।
রাজস্থানেও রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, সেখানে হামলাকারীদের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার কোনও অভিযোগ ওঠেনি। উলটে, বিজেপি জনপ্রতিনিধি কিরোরিলাল মিনা অভিযোগ করেছেন, আক্রান্ত বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া। তাঁদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে জেলাশাসকের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান ওই বিজেপি জনপ্রতিনিধি।
আরও পড়ুন- মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারত, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর
আর, এক্কেবারে উলটো ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ায় তাই ক্ষুব্ধ গেহলট। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে ঘরবাড়ির ওপর বুলডোজার চালানোর অধিকার প্রশাসনকে কে দিয়েছে? ঘটনায় বিচারের আগেই এমন পদক্ষেপ করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এতে নিরপরাধও ঘরবাড়ি হারিয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
জয়পুরে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গেহলট টেনে আনেন নিজের রাজ্যের করৌলি জেলার কথাও। বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, করৌলি জেলায় অশান্তির অভিযোগে বেশ কয়েকজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গেহলটের পালটা কটাক্ষ, যাঁরা নিজেদের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে বিনা বিচারে লোকজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে পারে, তাঁরাই কি না কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে বিনা বিচারে গ্রেফতারির অভিযোগ তুলছে।
Read story in English