পেগাসাসের নজরদারি নিয়ে উত্তাল দেশ, এরই মাঝে ছত্তিশগড়ের উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসার মুকেশ গুপ্ত এবং তাঁর পরিবারের সকলের ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে ছত্তিশগড় সরকার। কার নির্দেশে এই নজরদারি চালানো হল, সে ব্যাপারে সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, "কেন এই নজরদারির প্রয়োজন পড়ল? কারও কোনও গোপনীয়তা নেই এখানে! কী হচ্ছে এই দেশে?"
আরও পড়ুন- বিপদের আশঙ্কা হোয়াটসঅ্যাপে, ব্যবহার করুন সুরক্ষিত মেসেজিং অ্যাপ
কে বা কারা ফোন ট্যাপ করেছেন এবং কে এই বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন, তা বিশদে জানতে চেয়ে একটি হলফনামা জারি করে বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, “কারও গোপনীয়তা কী এভাবে লঙ্ঘন করা যায়?" যদিও এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং লাগাতে নিষেধ করেছেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। আইপিএস অফিসারকে তিনি জানিয়ে দেন, এই ইস্যুতে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নাম এনে যেন রাজনীতি করা না হয়।
আরও পড়ুন- এনআরসি আজকের নথি নয়, ভবিষ্যতের ভিত্তি: রঞ্জন গগৈ
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আইপিএস অফিসার মুকেশ গুপ্তের আবেদনে আদালতের তরফে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং অন্যান্যদের একটি নোটিস জারি করা হয়। যেখানে আইপিএস অফিসার জানান, রাজ্য সরকার তাঁকে হেনস্থা করছে এবং সিবিআই-এর কাছে দাবিও জানিয়েছে তাঁকে বদলি করে দিতে।
আরও পড়ুন- দুঃসহ অভিজ্ঞতা, ভূস্বর্গ থেকে বাংলায় ফিরলেন ১৩৮ জন শ্রমিক
আইনজীবী পুলকিত তারের মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন আইপিএস অফিসার। মুকেশ গুপ্তর দাবি, রাজ্যের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা এবং দুর্নীতি দমন শাখার ডিরেক্টর জেনারেলের পদে থাকাকালীন দুটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি- 'নাগরিক আপুরতি নিগম কেলেঙ্কারি' এবং 'অলোক আগরওয়াল মামলা' হাতে নাতে ধরেছিলেন তিনি। সেই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল এবং ইতিমধ্যে তার বিচারও শুরু হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই জন্যই তাঁর উপর এই নজরদারি শুরু করা হয়েছে ছত্তিশগড় সরকারের তরফে।
Read the full story in English