Advertisment

‘জাতীয় সম্পদ রেলের বেসরকারিকরণ নয়’, সংসদে আশ্বাস রেলমন্ত্রীর, পিপিপি ভরসা পীযূষের

‘রেল বেসরকারিকরণ কখনই হবে না। রেল জাতীয় সম্পত্তি। আর তেমনটাই থাকবে। রেল চিরকাল ভারত সরকারের হাতেই থাকবে।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিরোধীদের রেল বেসরকারিকরণের অভিযোগ মঙ্গলবার উড়িয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী। এদিন সংসদে পীযূষ গোয়েল আশ্বস্ত করে জানান, রেলের বেসরকারিকরণ কোনও অবস্থাতেই করা হবে না। তবে রেল পরিশেবার দক্ষতা বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি। এদিন সংসদে রেলের আর্থিক অনুদানের দাবি সংক্রান্ত একটি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। সেই বিতর্কে  গোয়েল দাবি করেন, ‘গত ২ বছরে রেল দুর্ঘটনায় একজন যাত্রীরও মৃত্যু হয়নি। শেষ মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। এর কারণ, যাত্রী সুরক্ষায় পর্যাপ্ত নজর দিয়েছে রেল। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র যদি হাতে হাত মিলিয়ে চলতে শুরু করে, তাহলে দেশ বৃদ্ধির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে। একইসঙ্গে আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে।‘ অর্থাৎ রেলে পিপিপি (প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ) মডেলের পক্ষে সওয়াল করেন রেলমন্ত্রী।  

Advertisment

তিনি বলেন, ‘রেল বেসরকারিকরণ কখনই হবে না। রেল জাতীয় সম্পত্তি। আর তেমনটাই থাকবে। রেল চিরকাল ভারত সরকারের হাতেই থাকবে।‘ গোয়েল জানান, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রেলের বরাদ্দ ছিল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে ২০২১-২২ সালে তা বাড়িয়ে ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছে মোদি সরকার। গত বছর অক্টোবর মাসে একগুচ্ছ ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে রেল। কয়েকটি স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বেও আছে একাধিক বেসরকারি সংস্থা। তারপর থেকেই বেড়েছে বিলগ্নিকরণ উদ্বেগ। সেই উদ্বেগ প্রশমনে এদিন সরব হলেন রেলমন্ত্রী।  

রেল সূত্রে খবর, ১২০টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর অনুমতি পাবে বেসরকারি সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি-হাওড়া, হাওড়া-মুম্বই, মুম্বই-দিল্লি, দিল্লি-গুয়াহাটি, দিল্লি-চেন্নাই, চেন্নাই-হাওড়া এবং চেন্নাই-মুম্বই রুট। রুটগুলোকে ভাগ করা হয়েছে ১২ টি ক্লাস্টারে। হাওড়া ক্লাস্টারে থাকছে ৯টি রুট। ওই সব রুটে ট্রেন চালাতে অনলাইনে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।  শুক্রবার দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আইআরসিটিসি, ভেল, এলএনটি-সহ মোট ১৫ টি সংস্থার দরপত্র খোলা হয়। নভেম্বরে ডাকা হয়েছিল  টেন্ডার বা দরপত্র।


কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা।  যদিও রেল সূত্রে খবর, বেসরকারি উদ্যোগে ট্রেন চললে বাড়বে বিনিয়োগ। উন্নত হবে পরিষেবা, কোষাগারে আসবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। তবে রেলকর্মী সংগঠনগুলির দাবি, হাতে ট্রেন পেলে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়াবে বেসরকারি সংস্থা। বাড়তি ভাড়ার চাপে জেরবার হবেন যাত্রীরা। এমনকি, আয়ত্বের বাইরে চলে যাবে প্ল্যাটফর্ম টিকিট-সহ অন্য পরিষেবার দাম।   

indian railway Indian Parliament Piyush Goyal
Advertisment