New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/corruption-cvc-759.jpg)
কেভি চৌধুরির বিরুদ্ধে সঞ্জীব চতুর্বেদী প্রথমবার অভিযোগ আনেন ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৭-এর আগস্ট এবং ২০১৮-এর জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়ে ফের মনে করান তিনি।
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে কী পদক্ষেপ করতে হবে, সেই সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নেই। সেরকম পরিস্থিতি আসলে চূড়ান্ত নির্দেশিকা তৈরি হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস আধিকারিক এবং ম্যাগসাসে পুরস্কারপ্রাপ্ত সঞ্জীব চতুর্বেদীর তথ্যের অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের জবাবস্বরূপ এই কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। গত ৯ জানুয়ারি কেন্দ্রের কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষক দফতরের পক্ষ থেকে চতুর্বেদীকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার কেভি চৌধরির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সঞ্জীব চতুর্বেদী।
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন তৈরি হয়েছিল ২০০৩ সালে। তারপর থেকে ১৫ বছরে কোনো নির্দেশিকা তৈরি করা হয়নি। অর্থাৎ ভিজিল্যান্স কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্ন করার কোনো পদ্ধতি-ই নেই।
আরও পড়ুন, ভিডিওকন ঋণ কাণ্ডে কোচর দম্পতিকে আটক করল সিবিআই
রাষ্ট্রপতিকে লেখা সঞ্জীব চতুর্বেদীর ১৪ জানুয়ারির চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "কতদিন এই ব্যবস্থা চলবে? কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষক দফতর সিভিসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পরবর্তী প্রক্রিয়া নিয়ে ২০১৮-এর অক্টোবরে যা বলেছিল, ২০১৯-এর জানুয়ারিতেও তা-ই জানিয়েছে। ভিজিল্যান্স কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দিষ্ট পদ্ধতি না থাকাটা শুধুমাত্র ২০০৩-এর আইনকেই লঙ্ঘন করা নয়, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মূল চরিত্রের পরিপন্থীও।
কেভি চৌধুরির বিরুদ্ধে সঞ্জীব চতুর্বেদী প্রথমবার অভিযোগ আনেন ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই। ২০১৭-এর আগস্ট এবং ২০১৮-এর জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়ে ফের মনে করান তিনি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টিকে কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষক দফতরে পাঠান।
২০১৮-এর অক্টোবর থেকেই ঘন ঘন খবরে থেকেছে সিভিসি। রাতারাতি সিবিআই-এর ডিরেক্টর এবং স্পেশাল ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানাকে অপসারণের সিদ্ধান্তে সিভিসি-র ভূমিকা সমালোচিত হয়েছে। সিভিসি-র রিপোর্টের ভিত্তিতেই ভার্মাকে সিবিআই-এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দমকলের ডিজি-র দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র।