আন্দোলনে যুক্ত কোনও কৃষক নেতাকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনআইএ তলব করেনি। রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতিতে জানাল কেন্দ্র। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা কৃষক আন্দলনে নেতৃত্বদানকারী বেশ কয়েকজনকে সমন পাঠায় বলে অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করে বিরোধিরা। আন্দোলন দমন করতেই এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করেন কৃষক নেতারা। এই বিষয়টির সত্যতা চলতি অধিবেশনে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি রাজ্যসভায় লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'না, এই ধরণের কোনও কিছু হয়নি।'
সরকার পক্ষকে এও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, কৃষকদের শুধুই কী সাক্ষী হিসাবে তলব করা হয়েছিল, নাকি তাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে? এ বিষয়ে রেড্ডি বলেছেন, 'যেহেতু কাউকে ডাকা হয়নি, এই প্রশ্নগুলি উত্থানের কোনও মানেই হয় না।'
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন কৃষকরা। ৪০ কষক ইউনিয়ান এই আন্দোলনে সামিল। কেন্দ্র-কৃষক ইউনিয়ান প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও উভয় পক্ষের অনড় মনোভাবের কারণে এখনও কোনও সমাধানসূত্রে বেরোয়নি। তার মধ্যেই গত মাসে অবস্থান আন্দোলনে সামিল ৪০ কৃষক নেতাকে এনআইএ-যয়ে সমন পাঠায় বলে জানা যায়। বিক্ষোভে জঙ্গিরা অর্থ যোগান করছে কিনা তা জানতেই কৃষক নেতাদের সমন পাঠানো হয়েছে বলে খবর ছড়ায়।
জানা যায়, প্রাথমিক পর্বে ভালাই ইনসাফ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি তথা কৃষক নেতা বলদেব সিং সিরশাকে এনআইএ সমন পাঠায়। কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। গত ১৯ জানুয়ারি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উঠে আসে কৃষক বিক্ষোভে কোনওভাবে জড়িত চাষী, দোকানি, আন্দোলনকারী, ব্যবসায়ী ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে এনআইএ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় পাঠিয়েছে।
এনআইএ-র সমনগুলো খতিয়ে দেখে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পারে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষক আন্দোলনের রূপ ও পন্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সমনপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই লঙ্গরখানা চালানো বা আন্দোলনকারীদের কোনওভাবে সহায়তা করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, যাঁদের তলব করা হয়েছে তাঁদের অনেককেই বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো হয়েছে বলে সন্দেহ। সূত্র জানাচ্ছেন, 'সমনপ্রাপ্তদের কেউই এখন অভিযুক্ত বা দোষী নন। কিন্তু তাঁদের কাছে যদি সত্যিই বিদেশ থেকে অর্থ আসে তাহলে কেন, কোথা থেকে এলো তা খতিয়ে দেখার অধিকার এনআইএ-র রয়েছে। কৃষকদের জন্য অর্থ জোগাড় করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু কৃষকদের নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ পোক্ত করতে অর্থ মজুত করা হচ্ছে কিনা সেদিকটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন