জোশীমঠ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না? সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট জোশীমঠ ভূমিধসের বিষয়ে ৮টি কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানের তৈরি রিপোর্ট প্রকাশ না করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে ভর্ৎসনা করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে ভুমিধসের ঘটনা ঘটে।
জোশীমঠ ভূমিধসের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট প্রকাশ না করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বিপিন সাংঘি এবং বিচারপতি অলোক কুমার ভার্মার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ একটি আদেশে বলেছেন, "বিশেষজ্ঞদের প্রস্তুত করা রিপোর্ট কেন রাজ্যের জনসাধারণের কাছ থেকে সরকার আড়াল করে রেখেছে? জনসাধারণের কাছে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত।
জোশীমঠ বাঁচাও সংগ্রাম সমিতি, যেটি বছরের শুরুতে জোশিমঠে ভূমিধস সঙ্কটের গভীরতার দিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট জনসাধারণের কাছে প্রকাশের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তারা করে আসছে।
সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি, ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রুরকির মতো আটটি কেন্দ্রীয় প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান জোশীমঠ ভূমিধসের কারণ খতিয়ে দেখে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল কিন্তু সেগুলি কখনই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।