'কোভিড ঝড় রোখার পরিকাঠামো নেই রাজ্যগুলির, আগামী দিন ভয়াবহ'

'ঝড়' এখনও ওঠেনি। বরং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। বিপর্যয় বাড়বে তখনই।

'ঝড়' এখনও ওঠেনি। বরং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। বিপর্যয় বাড়বে তখনই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা দাপটে ভয়াবহ অবস্থা দেশের। যদিও এরই মাঝে জানিয়ে দেওয়া হল যে 'ঝড়' এখনও ওঠেনি। বরং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। বিপর্যয় বাড়বে তখনই। একাধিক রাজ্যকে ইতিমধ্যেই 'বিশেষ ঝুঁকিতে' রয়েছে, এমন চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এও জানান হয়েছে যে রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো "অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি"মোকাবিলার জন্য এখনও প্রস্তুত নয়।

Advertisment

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোভিড পর্যালোচনা বৈঠকের সময় নীতি আয়োগ সদস্য ডঃ ভি কে পল, যিনি কেন্দ্রীয় প্যানেলের প্রধান ছিলেন, তার উপস্থাপনা চলাকালীন এই মূল দিকগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। 'ব্রেক দ্য চেইন' থেকে টিকানীতি, অক্সিজেন উৎপাদন ও প্রাপ্যতা, রেমডেসিভির ইত্যাদি বিষয়গুলিও উপস্থাপনা করা হয়।

তিনি বলেন, "করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে জেতার আশা রাখছে গোটা দেশ। যদিও বর্তমানে একাধিক সঙ্কট চলছে। হারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটের পরিস্থিতি ভয়াবহ এমনটাই জানান হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে এই মাসের শেষের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে জানান হয়েছে।

বৈঠকে সাফ জানান হয়েছে যে কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই। চিকিৎসার অব্যবস্থার জন্য মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। এই ঝড় চলবে জুন-জুলাই পর্যন্ত। এদিকে, এই একই বিশয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রর কাছে জবাব চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। শুনানিতে আদালতে বলেছে, ‘আমাদের দেশে করোনার গ্রাফ শিখর ছোঁবে মে’র দ্বিতীয় সপ্তাহে। তখন সংক্রমণের সুনামি হবে। কিছু মানুষ মারা যাবে। কিন্তু যাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা, তাঁদের নিয়ে কী ভাবনা কেন্দ্রের? নয়তো সেসব মানুষদেরও আমরা হারাব।‘

Advertisment

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19