Advertisment

বরফ গলল না, শীতে সীমান্তে উত্তেজনার প্রবল সম্ভাবনা

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু'পক্ষই আবারও দ্রুত বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারত-চিন সেনা ও কূটনীতিকদের অষ্টম রাউন্ডের বৈঠকেও বরফ গলল না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু'পক্ষই আবারও দ্রুত বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে নভেম্বরের ৬ তারিখ সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক শেষে ভারত-চিন যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল 'সীমান্তের অন্যান্য অনেক বিষয় দুই দেশের মতপার্থক্য রয়েছে। তাই সেগুলোকেও মেটাতে হবে। সীমান্তে দুই দেশই শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আগ্রহী।'

Advertisment

উভয় রাষ্ট্রই জানিয়েছিল যে, ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিম অংশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছিল। ফ্রন্ট লাইন ট্রুপদের নিয়ন্ত্রণে রাখা ও দুই দেশের ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে রাজি হয় ভারত-চিন নেতৃত্ব। সদ্য শেষ হওয়া বৈঠকের পরেও এর বিশেষ পার্থক্য হয়ননি। বরং সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকের পর সংঘর্ষ এলাকা থেকে কিছু বাহিনী প্রত্যহারের ইঙ্গিত থাকলেও এবার তা নেই।

ভারতের হয়ে এবার বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটানেন্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক যুগ্ম সচিব নবীণ শ্রীবাস্তব। চিনের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল লিউ লিন।

অগাস্টে ভারত প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ এবং চুসুল সাব-সেক্টরে কিছু এলাকায় আদিপত্য বস্তার করেছে। গত দুই রাউন্ডের বৈঠকে সেখান থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চিন। নয়াদিল্লি অবশ্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে সরব হয়। এপ্রিলের আগে ফ্রন্ট লাইন ও অন্যন্য এলাকায় যেবাবে দুই দেশের সেনার অবস্থান ছিল সেই পরিস্থিতি ফেরানোর কথা বলেছে ভারত। দেশের সিডিএস বিপিন রাওয়াতও বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বদলে রাজি নয় ভারত।

সীমান্তে অবস্তার কোনও বদল হচ্ছে না। এই অবস্থায় অধীক উচ্চতায় সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত দিল্লি। প্রায় ৫০ হাজার বাহিনী মোতায়েন থাকছে। শীতেও প্যাংগং, চুসুলে দুই দেশের সেনা ১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবে। ফলে প্রবল শৈত্যেও চরম উত্তেজনা থাকবে সীমান্তে।

Read in English

ন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

india china standoff
Advertisment