২০১৯-এর নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডাফলোর গবেষণার বিষয় বস্তু নিয়ে গত পাঁচ দিনে এত আলোচনা হয়েছে, সবাই অল্প বিস্তর জেনে গিয়েছে গবেষণা নিয়ে। বিশ্ব জুড়ে দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে তাঁদের কাজকেই স্বীকৃতি দিয়েছে নোবেল কমিটি। কিন্তু এই কাজের বাইরেও ভারতের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ আছে তাঁদের। রাজস্থান পুলিশের ওপর একটি গবেষণাপত্র পর্যন্ত লিখে ফেলেছেন তাঁরা, যা দেশের অধিকাংশ মানুষেরই অজানা।
ইনসেনটিভ এবং ম্যানেজমেন্টে স্বায়ত্তশাসন আনলে কাজে কতোটা সুবিধে হয়, সেই নিয়েই ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) থেকে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। সমীক্ষার সঙ্গে মূলত জড়িত দুটোই নাম- অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডাফলো। গত মাসে প্রকাশিত হয়েছে সে সংক্রান্ত আরও একটি গবেষণা।
আরও পড়ুন, ‘কেমন আছ, কী খেলে’ এসব নয়, আমাদের মধ্যে শুধুই অর্থনীতি-র কথা হতো’
দুটি গবেষণার ক্ষেত্রেই নোবেলজয়ী দম্পতি ছাড়াও ছিলেন রাজস্থান ক্যাডারের আইপিএস অফিসার নিনা সিং, ড্যানিয়েল কেনিস্টন। ২০১২-এর গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আইআইএম কলকাতার অধ্যাপক রাঘবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও। রাজস্থান পুলিশের ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি সরকার (তার চরিত্র যদি চূড়ান্ত আমলাতান্ত্রিকও হয়) চালানোর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায় কিনা, তাও ছিল গবেষণার বিষয়।
রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা হয়েছিল গবেষণায়। দেখা হয়েছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে পুলিশি দক্ষতা বাড়ানো যায় কি না। নমুনা হিসেবে ১৬২টি থানা এবং তার আওতায় পড়া ৮০ লক্ষ মানুষ নিয়ে কাজ করা হয়েছিল। যখন তখন বদলি, ছুটির দিন, এবং শিফটিং অনুযায়ী দায়িত্ব, কমিউনিটি ইনভল্ভমেন্ট এবং দায়িত্বে থাকাকালীন প্রশিক্ষণ এই চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পুরো ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যায় কিনা, গবেষণা হয়েছিল সেই নিয়ে। গবেষণার ফলাফল বলছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তুলনামূলক শহরের কাছাকাছি সুবিধাজনক জায়গায় বদলির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে ভালো কাজ করার প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।