চিনা আগ্রাসনে ফের উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। তার মধ্যেই মস্কোয় সাংহাই কোয়াপরেশন অর্গানাইজেশনের মঞ্চে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গির উপস্থিতিতেই পারস্পারিক আস্থা বৃদ্ধির বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানিয়েছেন, আস্থার বাতাবরণ, আগ্রাসন বিমুখতা, একে অপরের প্রতি সংবেদশীলতা, বিরোধের ক্ষেত্রগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসা করার চেষ্টাই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন বলেছেন, 'সাংহাই কোয়াপরেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলিতেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বসবাস করেন। তাই আঞ্চলিক শান্তি ও তার স্থায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রয়োজন, আস্থার বাতাবরণ, আগ্রাসনহীনতা, একে অপরের প্রতি সংবেদশীলতা, বিরোধের ক্ষেত্রগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসা করা।'
এছাড়াও সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার মত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, 'আমি আজ আবারও নিশ্চিত করে বলছি যে ভারত বিশ্বব্যাপী সুরক্ষা কাঠামো বিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্বচ্ছ, সর্বব্যাপী আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে।'
উল্লেখ্য, গত শনিবার ও সোমবারও প্যাঙ্গং লেকের দক্ষিণে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে লালফৌজ। যদিও সেই আগ্রাসন প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ঘোরাল পরিস্থিতির জন্য বেজিংকেই দায়ী করে নয়াদিল্লি। চিনা সেনারা লাদাখের দক্ষিণ প্যাংগং অঞ্চল দখল করার পর চুশুলে ভারতীয় সেনারা তাঁদের আধিপত্য দখল করে। তার পরেই সুর নরম করে আলোচনার টেবিলে বসতে চাইছিল চিন। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংগে নিজেই প্রস্তাব রেখেছিলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি। মস্কোর কথাও তিনিই বলেছিলেন। সে বিষয়ে সবুজ সংকেতও দিয়েছিল সাউথ ব্লক।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৮ কিমি অংশ তাদের বলে দাবি লাল-ফৌজের। এখনও ফিঙ্গার-৪ এলাকা চিনা সেনার দখলে। যা অবশ্য 'যুক্তিগ্রাহ্য' নয় বলে দাবি নয়াদিল্লির। দুই দেশের সেনা ও কূটনীতিক পর্যায়ে একাধিকবার আলোচনাতেও সমাধান সূত্রে মেলেনি। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেই তা লংঘন করেছে বেজিং।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন