Advertisment

'মন দিয়ে আবেদন দেখেননি', রাষ্ট্রপতির আর্জি খারিজ নিয়ে প্রশ্ন তুলল নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত

তবে কেবল রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নয়, আইনব্যবস্থার বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলে মুকেশের আইনজীবীরা বলেন, যে মুকেশের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার আগেই তাকে নির্জন কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল, যা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
2012 delhi gangrape case, ২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ মামলা, delhi gangrape curative petitions, দিল্লি গণধর্ষণ কিউরেটিভ পিটিশন, delhi rape curative petitions, দিল্লি ধর্ষণ কিউরেটিভ পিটিশন, december 16 gangrape, ডিসেম্বর ১৬ গণধর্ষণ, supreme court, সুপ্রিম কোর্ট indian express

নির্ভয়াকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা অক্ষয় ঠাকুর সিং ও মুকেশ সিং।

রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ দ্বারা নির্ভয়াকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজকে চ্যালেঞ্জ জানানো মুকেশ কুমার সিং-এর আবেদনের রায় সংরক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার অর্থাৎ আগামিকাল এই মামলার রায় দেবে দেশের শীর্ষ আদালত, এমনটাই খবর। রাষ্ট্রপতি 'মন দিয়ে আবেদন দেখেননি' এই মর্মে প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিং। বিচারপতি আর ভানুমতি নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এই অভিযোগটি খতিয়ে দেখে তার সমস্ত দিক বিবেচনা করছে ট্রায়াল কোর্ট, হাইকোর্ট এবং শীর্ষ কোর্ট।

Advertisment

আরও পড়ুন: ২৫ হাজার ‘চাইল্ড পর্ন’ আপলোড হয়েছে পাঁচ মাসে, ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা

মুকেশের আইনজীবীর কাছে অশোক ভূষণ এবং এএস বোপান্না প্রশ্ন রাখেন যে, "আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে এই ঘটনাগুলি রাষ্ট্রপতি সবদিক থেকে বিচার করেননি? আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে রাষ্ট্রপতি মন দিয়ে এই আর্জি বিবেচনা করেননি?" এরপর মুকেশের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল যে সব ঘটনা রাষ্ট্রপতির সামনে রাখা হয়নি। সেই অভিযোগ খারিজ করে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "রাষ্ট্রপতি কীভাবে আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা তাঁর বিষয়। এক্ষেত্রে কোনও বিধান রাখা যায় না।" প্রসঙ্গত ১৭ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন: ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগে গ্রেফতার জেএনইউ-এর পড়ুয়া শারজিল ইমাম

তবে কেবল রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে নয়, আইনব্যবস্থার বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলে মুকেশের আইনজীবীরা বলেন, যে মুকেশের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার আগেই তাকে নির্জন কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল, যা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এ কথা মুকেশ নিজেও সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকেও বলেছিলেন যে তাকে কারাগারে বারবার যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। যদিও এই আর্জি খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্র বলেছে যে এইরকম জঘন্য অপরাধ যে করেছে তাকে দয়া দেখানোর কোনও প্রশ্নই নেই। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির যুক্তি দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে - জীবনের মূল্য এবং কীভাবে মানব জীবনের সঙ্গে আচরণ করা যায়।" উল্লেখ্য, আগামী ২২ জানুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ দোষীর ফাঁসির কথা ছিল। কিন্তু বুধবার দিল্লি সরকার হাইকোর্টে জানায়, ওই দিন ফাঁসি দেওয়া যাবে না। নির্ভয়ার দুই দোষীর কিউরেটিভ পিটিশনের আর্জি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয়। এরপরই প্রাণভিক্ষার শেষ আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছে এক দোষী মুকেশ। যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষার আর্জির বিষয়টি রয়েছে, সে কারণে ফাঁসির দিন স্থগিত রাখার আবেদন করে মুকেশ।

Read the full story in English

supreme court
Advertisment