পান থেকে চুন খসলেই চিরশত্রু দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা উত্তর কোরিয়ার বরাবরের স্বভাব। পরমাণু অস্ত্রে বলীয়ান উত্তর কোরিয়ার এই আচরণের জন্য হামেশাই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে উত্তর ও দক্ষিণ, দুই কোরিয়ার মধ্যে। এবার করোনার ছডা়নোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বেলুনকে দায়ী করল পিয়ংইয়ং। তাদের অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়া বেলুন পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
করোনা আবহে তাদের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এনিয়ে এতদিন উত্তর কোরিয়ার শাসকরা মুখ খোলেননি। সেদেশের বহু তথ্যই বরাবরই বাইরে আসতে দেওয়া হয় না। আবার, তাদের দেশে অবাঞ্ছিত কাউকে প্রবেশও করতে দেয় না উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। এবার তাঁরা জানালেন, ২০২০ সালের ১২ মে উত্তর কোরিয়ায় প্রথম করোনা ছড়িয়েছিল।
যদিও কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মে সেদেশে ২,৪০,৪৫৯ জনের 'ম্যালিগন্যান্ট ভাইরাস'-এর চিকিৎসা চলেছিল। আক্রান্তের এই সংখ্যাটা পিয়ংইয়ং শহরের জনসংখ্যার সাত শতাংশ। বিশ্বজুড়ে যখন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তখন করোনা রুখতে উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্তই সিল করে দিয়েছিল।
দু'বছর সিল রেখেছে সীমান্ত। তারপরও কীভাবে উত্তর কোরিয়ায় করোনা ছড়াল? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পিয়ংইয়ঙের শাসকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেলুন উড়ে এসেছিল। সেই সব বেলুন ওষুধ, অর্থ এবং মিথ্যে প্রচার উত্তর কোরিয়ায় বয়ে নিয়ে এসেছিল। সেই সব বেলুনের মাধ্যমেই নাকি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে করোনা ভাইরাস।
আরও পড়ুন- ভারতের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে, একযোগে রুখতে দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যদিও কিম জং উনের শাসনে বীতশ্রদ্ধ উত্তর কোরিয়ার একাংশের অভিযোগ, এসব বলে আসলে নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে চাইছে পিয়ংইয়ং প্রশাসন। তারা করোনা প্রতিরোধ করতে পারেনি। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারেনি। সেই ব্যর্থতা কীভাবে ঢাকবে বুঝে উঠতে পারছে না। তাই, এমন বোকাবোকা কথা বলছে।
এর আগে গত ১লা জুলাই, উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল যে তারা সংক্রমণের সময় এই অতিমারীর উত্সস্থল খুঁজে পেয়েছিল। উত্তর কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণের এই উৎসস্থল হল ইফো-রি নামে এক ছোট গ্রাম। যা সেনার আওতাধীন নয়, এমন এলাকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে। ওই অঞ্চল কোরীয় উপদ্বীপকে বিভক্ত করেছে। সেখান থেকেই নাকি করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বাকি উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে।
Read full story in English