আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বন্ধ হওয়ার পিছনে আমেরিকাকে দুষল উত্তর কোরিয়া। একইসঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়ারও তারা তীব্র নিন্দা করল। উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ, এই ধরনের যৌথ সামরিক মহড়াই প্রমাণ যে, আমেরিকা এবং তার মিত্ররা আক্রমণাত্মক। তারা উত্তর কোরিয়ার শাসনক্ষমতায় পরিবর্তনের জন্য লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের পরমাণু অস্ত্র ওই অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য এনেছে। পাশাপাশি, এই কমিউনিস্ট দেশটির বিদেশ দফতরের অভিযোগ, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য কোরিয়া উপদ্বীপ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধ অনুশীলনের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।'
উত্তর কোরিয়ার এত অভিযোগ আর বক্তব্যের কারণ, সম্প্রতি কোরীয় উপদ্বীপে আমেরিকার নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এমন মহড়া নতুন কিছু নয়। অতীতেও ঘটেছে। কিন্তু, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া বারবার জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভীতি প্রদর্শন করেছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে বারবার। পাশাপাশি, তারা বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই দুই দেশকে। তার ঠিক পরপরই যৌথ সামরিক মহড়া হওয়ায় উত্তর কোরিয়া নিজেও উদ্বিগ্ন। শনিবার তাদের এই গুচ্ছ অভিযোগ আর দাবি সেটাই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- অশনি সঙ্কেত, কলকাতার সামনে বড় বিপদের অপেক্ষা?
এর মধ্যে তিন দেশের যৌথ সামরিক মহড়া চলাকালীনই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু, তাতে বিশেষ একটা কাজ হয়নি। আর, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গতকাল, শুক্রবার। দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা ওই দিন আরও বড় সামরিক মহড়া চালানোর কথা ঘোষণা করেছে। চলতি মাসেই আগামী ১৩ থেকে ২৩ মার্চ, ১০ দিন ধরে এই মহড়া চলবে বলেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা জানিয়েছে।
তার জেরে উত্তর কোরিয়া বলেছে, সম্প্রতি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে আমেরিকা যে সামরিক মহড়া চালিয়েছে, তা একদমই তারা সহ্য করবে না। তবে, উত্তর কোরিয়ার এই সব হুমকিকে মোটেও গুরুত্ব দিতে নারাজ আমেরিকা। তারা এখনও পর্যন্ত মহড়া পিছনোর কথা জানায়নি। মহড়া বাতিলও ঘোষণা করেনি।