একেই ইউক্রেন যুদ্ধে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত। জিনিসপত্রের দাম চড়চড় করে বাড়ছে। তার মধ্যে জাপান আর দক্ষিণ কোরিয়াকে সুযোগ পেলেই ভয় দেখাচ্ছেন কিম। মানে, উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। শনিবার মানে এদিনও কিমের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। পূর্ব উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রে গিয়ে আছড়ে পড়েছে।
পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কিম-সেনার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। নজর রাখছে জাপানের সেনাবাহিনীও। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার কথায় সায় দিয়েছে। সঙ্গে বলেছে, জাপানের ধারণা ওটা ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।
এর আগে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কিম আচমকা হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'কোনওরকম হামলার অপ্রত্যাশিত কড়া জবাব' দেওয়া হবে। কিমের এই আচমকা রাগের কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া আর মার্কিন সেনার যৌথ সামরিক মহড়া এবং প্রশিক্ষণ। এটা এই বন্ধু দেশ, পরস্পরের সেনাবাহিনীকে সক্রিয় রাখতে হামেশাই করে।
কিন্তু, প্রতিবেশী শত্রুদেশ অন্য দেশের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেবে, সামরিক মহড়া করবে, সেসব কিম খোলা মনে নিচ্ছেন না। উত্তর কোরিয়ার হুমকিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান খোলামনে নিতে পারছে না। কারণ, উত্তর কোরিয়া পরমাণু শক্তিধর। শুধু তাই নয়, পরমাণু অস্ত্র বহন করার মত ক্ষেপণাস্ত্রও উত্তর কোরিয়ার কাছে আছে।
আরও পড়ুন- বিয়ের জন্য বিশেষ বিবাহ আইনকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন স্বরা ভাস্কর, কিন্তু কেন?
শুধু তাই নয়, কিমের উত্তর কোরিয়া ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটই তৈরি করে ফেলেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজের দিন। ওই দিন তাদের নানা সামরিক শক্তির প্রদর্শনী করেছে উত্তর কোরিয়া। তখনই জানা গিয়েছে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর জন্য আলাদা বাহিনী তৈরির কথা।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যমই আবার সেসবের ভিডিও প্রকাশ করেছে। যাকে কার্যত ভয় দেখানো ছাড়া অন্য কিছু ভারতে নারাজ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুই দেশের দাবি, অশান্তিপ্রিয় কিম তার সেনাবাহিনীকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। ফলে, যথারীতি উদ্বেগ বাড়ছে ওই অঞ্চলে।
Read full story in English