মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তা ইয়ো স্যাং বাম। তাঁর দাবি, জাপান সাগর এলাকায় এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার একটু আগেই পিয়ংইয়ং-এর তায়েচন থেকে ওই স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ গতিতে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়া একাই নয়। জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীও এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি সত্যি বলে মেনে নিয়েছে। আর, সেই সূত্র ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া লাগাতার পরমাণু পরীক্ষা করে চলেছে। তারা এই পরীক্ষার জন্য পরমাণু কেন্দ্রের তৃতীয় টানেলও তৈরি করে ফেলেছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই উত্তর কোরিয়া ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল বলেই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।
সিওল তথা দক্ষিণ কোরিয়ার এই অভিযোগ মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ওয়াশিংটন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান কিম সিউং-কিউম ও মার্কিন বাহিনীর কোরীয় কমান্ডার পল লা কামেরার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদাও।
আরও পড়ুন- গেহলট বেঁকে বসেছেন, তাই কি কংগ্রেস সভাপতি পদে হাইকমান্ডের বাজি ডিগ্গি রাজা?
দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া পরস্পরের সামরিক মিত্র। সেই জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য ২৮ হাজার মার্কিন সেনা সিওলে মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন। সেই বাহিনীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার জওয়ানরা হামেশাই সামরিক মহড়া চালায়। সম্প্রতিও এই ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে দুই দেশের সেনা। দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবি, এই মহড়া রুটিনামাফিক হয়েছে।
এটা দু'দেশের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপার। কিন্তু, সেসব মানতে নারাজ প্রতিবেশী কিম জং উনের দেশ। উত্তর কোরিয়া প্রশাসনের অভিযোগ, এই মহড়া আসলে তাদের দেশে হামলার ষড়যন্ত্র মাত্র। কারণ, সাম্প্রতিক মহড়া চলাকালীন পরমাণু অস্ত্রবাহী মার্কিন বিমান ইউএস রোনাল্ড রেগানও যোগ দিয়েছিল। শুধু তাই নয়। কমলা হ্যারিস তাঁর সফরে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তও পরিদর্শন করবেন।
Read full story in English