বালেশ্বরের স্মৃতি উসকে ফের রেল দুর্ঘটনা। এবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বিহারের বক্সারে। রঘুনাথপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে কামাখ্যা জংশনগামী নর্থইস্ট এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে ৪ জনের মৃত্যু এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন।
মারাত্মক এই দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আহতদের উদ্ধার করে পাটনার তিনটি প্রধান হাসপাতাল- পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নালন্দা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই হাসপাতালগুলিতে সবধরনের ব্যবস্থা করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। দুর্ঘটনাস্থলে এক ডজনেরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
বক্সার পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনাল থেকে গুয়াহাটির কামাখ্যা জংশনগামী নর্থইস্ট এক্সপ্রেস যখন বক্সার স্টেশন ছেড়ে রঘুনাথপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পৌঁছোয় তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা। বক্সার থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং পাটনা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত ৯.৫০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়, এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।
গতরাতে রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে কিন্তু অন্ধকার আরও অসুবিধা বাড়াচ্ছে। বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজস্বী প্রসাদ যাদব বলেন, "আমরা উদ্ধার অভিযান জোরদার করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বক্সার প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। আমরা আহতদের চিকিৎসার জন্য পাটনার হাসপাতালগুলিতে সব বন্দোবস্ত করেছি।"
আরও পড়ুন- বিরাট ট্রেন দুর্ঘটনা! বিহারের বক্সারে লাইনচ্যুত নর্থ-ইস্ট সুপারফাস্ট, হতাহত বহু বলে আশঙ্কা
অনলাইনে একটি পোস্টে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বক্সারের সাংসদ অশ্বিনী ক্র চৌবে বলেছেন, "আমি জানতে পেরেছি যে ৩টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমি ডিজি এনডিআরএফ, মুখ্য সচিব, ডিএম, ডিজি এবং জিএম রেলওয়ের সাথেও কথা বলেছি। সবাই উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।”
ওড়িশার বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি উসকে দিয়েছে বক্সারের এই দুর্ঘটনা। ওড়িশার রেল দুর্ঘটনার চার মাসেরও বেশি সময় পর এবার বিহারে এই দুর্ঘটনা। বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল এবং তার কিছু লাইনচ্যুত বগিতে কয়েক মিনিট পরেই হাওড়া যাওয়ার পথে যশবন্তপুর এক্সপ্রেস সজোরে ধাক্কা মারে।