LAC-তে আর সমস্যা হয়নি, হটলাইনের মাধ্যমেই সমাধান হচ্ছে, জানালেন সেনার নর্দার্ন কমান্ডার

ভারতও বৈঠক চায়। চায় বাহিনী পিছিয়ে যাক। চায়, বাহিনী প্রত্যাহার করতে। তবে কীভাবে সেই প্রক্রিয়া চলবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।

ভারতও বৈঠক চায়। চায় বাহিনী পিছিয়ে যাক। চায়, বাহিনী প্রত্যাহার করতে। তবে কীভাবে সেই প্রক্রিয়া চলবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Army

বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করল পুলিশ, আইএস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার ১

ডোকলামের মত ছোট ঘটনা যাতে আর বাড়তে না-পারে, তার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হটলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। 'বডি পুশিং' অনুশীলন আপাতত বন্ধই থাকছে। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি জানান, পূর্ব লাদাখে গত দুই বছরে আরও কোনও সমস্যা হয়নি। উভয়পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছে। কৌশলগত কারণেই ধৈর্যের ওপর জোর দিচ্ছে।

Advertisment

উত্তর কমান্ডের সদর দফতরে নর্থ টেক সিম্পোজিয়াম সেমিনারের ফাঁকে সাংবাদিকদের লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী জানান, ভারতও বৈঠক চায়। চায় বাহিনী পিছিয়ে যাক। চায়, বাহিনী প্রত্যাহার করতে। তবে কীভাবে সেই প্রক্রিয়া চলবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ' কোনওরকম উত্তেজনা থেকে যাতে হিংসা না-ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের সেনাই বদ্ধপরিকর। আমরা নিচুস্তরে অর্থাৎ ব্যাটালিয়ন এবং ব্রিগেডস্তরে পরস্পরের বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম খুলে দিয়েছি। নিয়মিত হটলাইনে বার্তা আদানপ্রদান হচ্ছে। আমরা বডি পুশ করার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি। এটি আগেও বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, করমর্দনের মতো শারীরিক যোগাযোগও বন্ধ আছে। কোনও উত্তেজনা দেখা দিলেই আমরা ব্যাটেলিয়ন এবং ব্রিগেড পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছি।'

আরও পড়ুন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার কমেছে এপ্রিলেই, তবে ধীরে বাড়ছে কর্মসংস্থান

একইসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, '২০২০ সালের এপ্রিলে যা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি হোক, সেটা আমরা কেউই চাই না। এজন্য অবশ্য চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। বাহিনী মোতায়েন আছে। জওয়ানদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে। কোনও হামলা বা অন্য কোনও সমস্যা হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।' তবে, ওই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত আর কোনও সমস্যা হয়নি। বর্তমান বিশ্বে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার প্রভাব কমেছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের কথা গোটা বিশ্ব জানে। এই পরিস্থিতিতে পরমাণু শক্তিধর ভারতকে ঘাঁটাতে চিন সাহস করবে না। এমনটাই মনে করছে সেনাবাহিনী। তবে, তাই বলে নজরদারিতে কোথাও ঘাটতি রাখা হচ্ছে না-বলেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র জানিয়েছেন।

Advertisment

Read story in English