Farmers Protest: গাজিপুর সীমান্তের রাস্তা দিল্লি পুলিশ বন্ধ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে পাল্টা মন্তব্য আন্দোলনরত কৃষকদের। প্রায় এক বছর ধরে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আয়োজক সংস্থা সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। সেই সংগঠন বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘কৃষকরা নয়, জাতীয় সড়ক ৯ লাগোয়া রাস্তা দিল্লি পুলিশ বন্ধ করেছে। আমরা রাস্তা খুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। কোর্টের নির্দেশ মেনে সরিয়ে ফেলেছি কয়েকটি তাঁবুও।‘
এক কৃষকের অভিযোগ, ’দিল্লি পুলিশ আমাদের সঙ্গে নকশালদের মতো আচরণ করছে। আমরা দিল্লি যাব না। তাও দেখুন কীভাবে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। আমরা কোর্ট এবং সরকারের অভিযোগ শুনে ক্লান্ত।‘
এদিকে, অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে প্রতিবাদ দেখাতে পারেন না কৃষকরা, বৃহস্পতিবার আরও একবার এবিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজধানী দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে একটানা অবস্থান বিক্ষোভে কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকদের সংগঠনগুলি। অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলতে থাকায় নয়ডার এক বাসিন্দা আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরানোর দাবি করেন ওই ব্যক্তি। সেই আবেদনের শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ‘কৃষকদের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে রেখে তাঁরা প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারেন না।’
কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ জারি রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতে থাকায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘোরতর সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দিনের পর দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে হাইওয়ে। সম্প্রতি নয়ডার এক বাসিন্দা কৃষকদের একটানা অবস্থান বিক্ষোভ তোলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। সেই আবেদনের শুনানির ভিত্তিতে এবার কৃষক সংগঠনগুলিকে বিক্ষোভ তুলতে তিন সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর।
এদিন কৃষক বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। আইনি চ্যালেঞ্জের বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। আমরা তাঁদের প্রতিবাদ করার অধিকারের বিরোধী নই। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করা যাবে না।” এর আগেও, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের রাস্তা আটকে প্রতিবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সর্বোচ্চ আদালত। কৃষকদের একটানা আন্দোলনের জেরে রাজধানী দিল্লির সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্যের সংযুক্ত পথ অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। যার জেরে ঘুরপথে যাতায়াতে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন