চিনের সঙ্গে সীমান্ত জটের আবহেই এবার নেপালের সঙ্গে ভারতের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হল। ভারতীয় ভূখণ্ডের তিন এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে শনিবার সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পাস করল নেপাল। এই পদক্ষেপের পর সোচ্চার হয়েছে নয়া দিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, নেপালের এহেন পদক্ষেপ অসমর্থনযোগ্য় এবং ঐতিহাসিক তথ্য়-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ''যে দাবি করা হয়েছে, তা মোটেই সমর্থনোগ্য় নয়। ঐতিহাসিক তথ্য় ও প্রমাণের উপর নির্ভর করে এটা করা হয়নি। সীমান্ত ইস্য়ুতে পারষ্পরিক বোঝাপড়া লঙ্ঘিত হয়েছে এই পদক্ষেপে''।
আরও পড়ুন: আজ দেশের বড় খবর: ভারত-চিন সীমান্ত ইস্য়ুতে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান- মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে কোয়ারেন্টিন নোটিস-প্য়াংগংয়ে জটিলতা অব্য়াহত
নেপালের এহেন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানানো উচিত নেপালের। আশা রাখব যে, সীমান্ত ইস্য়ু সমাধানে নেপালের নেতৃত্ব কূটনৈতিক স্তরে ইতিবাচক বাতাবরণ তৈরি করবেন।
উল্লেখ্য়, লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা এই তিন এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে শনিবার সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করেছে নেপাল। নেপালি কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি-নেপাল, রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির মতো বিরোধী দলগুলি এদিন বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। নতুন মানচিত্র ও জাতীয় প্রতীক নির্ধারণে সংবিধানের ৩নং ধারা সংশোধনে সরকারকে সমর্থন জানাবে বলে আগেই জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি।
নিম্নকক্ষে বিলটি পাসের পর তা পাঠানো হবে ন্য়াশনাল অ্য়াসেম্বলিতে। সেখানেও একই প্রক্রিয়া চলবে।ন্য়াশনাল অ্য়াসেম্বলিতে বিল পাসের পর তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য় পাঠানো হবে।গত ৯ জুন সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে এই বিলটি আনা হয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন