আন্দোলন চলছে। দাবি না মেটা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে। আর এজন্য় নিজেদের শরীর-স্বাস্থ্য় তরতাজা রাখাও জরুরি। সেকারণেই সিংঘু ও টিকরি সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভস্থলে অস্থায়ীভাবে জিম ও মাসাজ সেন্টার খোলা হল। বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক মেশিন এনে রীতিমতো মিনি-জিম বানিয়ে ফেলেছেন বিক্ষোভস্থলে। বিক্ষোভের মধ্য়েই কৃষকদের ফিট রাখতে এমনই বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
মাসাজ চেয়ারে বসে ৬০ বছরের বৃদ্ধ রনজিত সিং। তাঁরই পাশে বসে বন্ধু মনরাজ (৫৬)। তাঁদের দুজনের পা-ই মেশিনে রাখা। মাসাজ নিতে নিতে রনজিত বললেন, ‘‘যখন এটা দেখেছিলাম, ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন খুশি। দিনের পর দিন হাঁটছি আমরা। ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের ট্রলিতে ঘুমিয়েছি। আজ আমার বন্ধু এই মাসাজ সেন্টারের কথা বলে। ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর সুযোগ পাই। মেশিনটা দারুণ। এখানেই ঘুমিয়ে পড়তে চাই’’।
আরও পড়ুন: ডেন্টাল ক্যাম্প-ওষুধের দোকান-ওয়াশিং মেশিন-লাইব্রেরি, কৃষকদের বিক্ষোভস্থলে হাজারো বন্দোবস্ত
জানা যাচ্ছে, দিল্লির একটি দোকান থেকে ২৫টি মেশিন কেনা হয়েছে। খালসা এইডের ডিরেক্টর আমনপ্রীত সিং বলেন, যেসব প্রবীণ কৃষকরা দুসপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কথা ভেবেই এই আয়োজন করা হয়েছে। টিকরি সীমানায় ফুট মাসাজের জন্য় ভলান্টিয়ারদের পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আমনপ্রীত জানান, ‘‘সিংঘুতেও এটা আমরা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে অনেক মানুষের সমাগম। আমরা ভেবেছিলাম, কৃষকদের জন্য় মেশিন কিনে দেওয়াটাই শ্রেয় হবে...আমরা জেনারেটরও কিনেছি। ফলে সহজেই ফোন চার্জ ও বাল্ব জ্বালানো যাবে’’। জিমে পেশাদার ভারোত্তোলনকারীদেরও আনা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন