সরকারি বাংলো থেকে চিরাগ পাসোয়ানকে উৎখাতের পর এবার সরকারের নজরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। দিল্লির ২৭, সফদরজং রোডের বাংলোটিতে থাকেন এখন পোখরিয়াল। কিন্তু গত বছরই এই বাংলোটি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলোটি এখনও ছাড়েননি পোখরিয়াল। এবার তাঁকেও উচ্ছেদ করা হতে পারে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ডিরেক্টরেট অফ পার্সোনেলের একটি দল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেন। পোখরিয়াল যেহেতু আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন, তাই তিনি টাইপ এইট সরকারি বাংলোতে থাকার অধিকারী নন। ২৭, সফদরজঙ্গ রোডের এই বাংলো সিন্ধিয়াদের দীর্ঘদিনের আবাস ছিল। এর আগে প্রয়াত মাধবরাও সিন্ধিয়া এই বাংলোয় থাকতেন। তখন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। জ্যোতিরাদিত্যরা ২০১৯ পর্যন্ত এই বাংলোয় থাকতেন। তার পর লোকসভা নির্বাচনে হারের পর তিনি এই বাংলো ছেড়ে দেন।
সূত্রের খবর, যেহেতু সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং গত বছর তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে, তাই তাঁকে তিনটি বাংলোর একটি বেছে নিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি সেই পুরনো সফদরজং রোডের বাংলোতেই থাকতে চান। আনন্দলোকে একটি বেসরকারি আবাসনে থাকেন এখন সিন্ধিয়া।
আরও পড়ুন মরিয়া মান, চণ্ডীগড়কে পাঞ্জাবে স্থানান্তরের দাবি, প্রস্তাব পাস বিধানসভায়
এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, রমেশ পোখরিয়াল এই বাংলোয় বেশ কয়েক বছর ধরে থাকেন। যেহেতু তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন তাই তাঁকে ২, তুঘলক লেনে একটি নয়া বাংলো অ্যালট করা হয়েছে। তাও তিনি এই বাংলো ছাড়ছেন না। আগামী সোমবার একটি দল যাবে উচ্ছেদের জন্য। সূত্রের খবর, বার বার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও পোখরিয়াল উচ্ছেদ রুখে দিয়েছেন। তিনি বাংলো রেখে দিতে চান, তবে তাঁর আবেদন খারিজ হয়েছে।