এবার ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস উদজাপনের অনুষ্ঠান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর জন্মদিনকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদজাপনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই উদ্যোগ মোদী সরকারের। নেতাজির জন্মদিনটি দেশজুড়ে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে পালন করে কেন্দ্রীয় সরকার।
২৪-এর বদলে এবার ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে প্রজাতন্ত্র দিবস উদজাপনের অনুষ্ঠান। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনটি প্রজাতন্ত্র দিবস উদজাপনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের সেই সূত্র জানিয়েছে, ''আমাদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি উদযাপন করতে চায় মোদী সরকার।''
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিশেষ কয়েকটি দিনকে স্মরণে রেখে একাধিক কর্মসূচি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তালিকায় এমন বেশ কয়েকটি দিনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেগুলি দেশের প্রেক্ষিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ অগাস্ট দিনটি 'দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। ঠিক তেমনি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন ৩১ অক্টোবরে 'একতা দিবস বা জাতীয় ঐক্য দিবস' পালন করে মোদী সরকার। ১৫ নভেম্বর বীরসা মুণ্ডার জন্মদিনটি 'জনজাতি গৌরব দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। ২৬ নভেম্বর দিনটি 'সংবিধান দিবস' হিসেবে পালন করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
আরও পড়ুন- করোনাকালে আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের তোড়জোড় তুঙ্গে
করোনাকালে এবার দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস আসন্ন। কুচকাওয়াজে সাধারণ দর্শক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, শিশু, এনসিসি ক্যাডেট, রাষ্ট্রদূত, সিনিয়র আমলা এবং রাজনীতিবিদদের মিলিয়ে মোট ২৪ হাজার মানুষ থাকবেন। এমনই খবর মিলেছে সূত্র মারফত।
এবার এমন একটি সময়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান হতে চলেছে যখন দেশ সংক্রমণের শিখরে পৌঁছেছে। প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে অতিমারীর এই ভীষণ প্রভাবের মধ্যেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ কাটছাঁট হচ্ছে না। গতবার কুচকাওয়াজে ২৫ হাজার দর্শক ছিলেন। এবার তা কমে হচ্ছে ২৪ হাজার।
Read full story in English