করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে এবার বাড়িতেও মাস্ক পরা শুরু করুন। সোমবার এই পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছে, কেন্দ্রের হাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ভান্ডার রয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। মূল সমস্যা অক্সিজেন পরিবহণ। যদিও এই দাবির পরে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, ‘আমরা ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে অক্সিজেন সরবারহ সছল রাখার চেষ্টা করছি।
এদিকে, নিউইয়র্ক থেকে ৩২৮টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিল্লিতে পৌঁছে দিল এয়ার ইন্ডিয়া। ট্যুইট করে একথা জানান কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরী।
অপরদিকে, মাত্র দশ দিন আগে, নীতি আয়োগের সদস্য ড ভি কে পলের নেতৃত্বে অফিসারদের একটি গুপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক-সহ কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন যে দেশে তিন লক্ষ নতুন করোনা আক্রান্তের কেসের জন্য অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ২০ এপ্রিলের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই তথ্যর সত্যতা আজ নিশ্চিত। এবার আগামী দিনে দৈনিক ৬ লক্ষ কোভিড কেস নিয়ে সতর্ক করা হল।
স্বাস্থ্য পরিকাঠানো এবং কোভিড ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান সম্পর্কিত একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ভি কে পল। যে হারে দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বাড়ছে সেই প্রেক্ষিতে এবার ‘প্ল্যান বি’ অর্থাৎ বিকল্প পরিকল্পনা ভাবতে হবে দেশকে এমনটাই বলা হয়েছে সুপারিশে।
এই গোটা বিষয়টি অপর একটি বিশেষ গ্রুপকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগের সচিব ডঃ গুরুপ্রসাদ মহাপাত্রের অধীনে কাজ করছে এই দলটি। যাঁদের মূল লক্ষ্য আক্রান্ত রাজ্যগুলিতে যাতে অক্সিজে-সহ কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছয় তা নিশ্চিত করা।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে বিকল্প কঠোর কোভিড পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে অবিলম্বে। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানান হয়েছে যে বর্তমানে যে পরিকাঠামো এবং পরিকল্পনা রয়েছে। তা দিয়ে আগামী দিনে এই ভাইরাকে রুখতে পারা সম্ভব নয়।