৯ সেপ্টেম্বর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিছু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কলকাতায় এনআরসি অর্থাৎ দ্য ন্যাশানাল রেজিস্টার ফর সিটিজেনস বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অনুষ্ঠান করবে। 'ফল্ট লাইন আসাম' কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে জনগণের এনআরসি নিয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে। ১৯৮০ সালের আসামের ওপর তৈরি তথ্যচিত্র 'হোয়াট দ্য ফিল্ডস রিমেমবার'ও দেখানো হবে সাধারণ মানুষকে অবগত করানোর জন্য। এমনকি বাংলায় এনআরসি নিয়ে একটি বইও লেখা হয়েছে। যেটা ওই অনুষ্ঠানের দিন প্রকাশ করা হবে। কলকাতার যোগেশ মাইম একাডেমিতে হবে এনআরসি সচেতনতা অনুষ্ঠান।
পিপলস ইউনিটি এন্ড পিপলস ফিল্ম কালেকটিভের সদস্য কস্তুরি বসু বলেন, "এই বিষয়টাকে আমাদের সাময়িক বিপর্যয় হিসাবে দেখতে হবে। কারণ কেউ জানি না এই মানুষগুলোর ভবিষ্যত কী। এনআরসি নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠছে এবং আমাদের সে দিকে নজর দিতে হবে।"
এদিকে আসামের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পরদিন থেকেই বিরোধীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। আসামে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশীদের চিহ্নিত করতে এই চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লক্ষ মানুষ। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। সব বিরোধী দলেরই কার্যত এক কথা বলেছিল যে, বিজেপি সমাজকে বিভক্ত করে ভারতীয় নাগরিকদের তাঁদের নিজের দেশেই উদ্বাস্তু বানিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন, NRC চাই পশ্চিমবঙ্গেও, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের, শুরু হচ্ছে ঘর ওয়াপসি
আবার এরাজ্যেও এনআরসির দাবি করেছিল বিজেপি। শুধু তারাই নয়, রাজ্যে এন আর সি তালিকা তৈরির দাবি করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, এই সরকার রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আসামের লক্ষ লক্ষ মানুষকে “রাজ্যহীন” করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এবং হুঁশিয়ারি দেন যে এর ফলে দেশে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ লাগতে পারে।