দেশজুড়ে এখনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জির কাজ শুরু করার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। সংসদে লিখিত এক বিবৃতির মাধ্যমে জানালেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
Advertisment
এর আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল, সিএএ-এর পরই লাগু হবে এনআরসি। যা ঘিরে শুরু হয় প্রবল বিরোধিতা। প্রতিবাদের মধ্যেই রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকারের এনআরসি-র কোনও পরিকল্পনাই নেই। একই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সংসদেও বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র জানাল, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির কাজ শুরু করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু হয়েছে। যার প্রবল প্রতিবাদ হচ্ছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এনআরসির-র বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। তবে, প্রথম দিকে এই প্রতিবাদকে গুরুত্ব দেয়নি মোদী সরকার। বিজেপির প্রতিশ্রুতি মেনে দেশে এনআরসি চালু হবেই বলে জানানো হয়। গত বছর ডিসেম্বর অবশ্য প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, 'এনআরসির কোনও পরিক্লনাই সরকারের নেই। এখনও অব্দি তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।' সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেছিলেন, 'এনপিআর-এর তথ্য এনআরসি-র জন্য ব্যবহার হবে না। এনআরসির জন্য কোথাও ডিটেনশন ক্যাম্প হচ্ছে না। মিথ্যা রটাচ্চনে কংগ্রেস ও তার সহয়োগি দলগুলো। এছাড়াও এতে শামিল শিক্ষিত নকশালরা।'
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে লোকসভার বাজেট অধিবেশন। আর লোকসভায় বেশিরভাগ বিরোধী দলই এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের জবাবদিবি দাবি করেছে। ডিএমকে, সিপিএম, এনসিপি, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি সহ সব বিরোধী দলই লোকসভায় অন্যসব কাজকর্ম স্থগিত রেখে সিএএ নিয়ে আলোচনা করার জন্য নোটিস দেয়। তার মাঝেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিবৃতি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট গুরুত্ববাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।