ত্রিশ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাটানোর পর অবসরপ্রাপ্ত এক সৈনিককে আসাম পুলিশ 'বিদেশী' ঘোষণা করার পরের দিনই জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) চিফ কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ৩১ জুলাইয়ের সময়সীমার চাপে যেন পঞ্জিকরণ প্রক্রিয়ায় কাটছাঁট না করা হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন সুবিচার নিশ্চিত করেন হাজেলা।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে যা জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ওই এনআরসি আধিকারিককে বলেছেন, তাড়াহুড়ো করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ না করতে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোর অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মহম্মদ সানাউল্লাহকে আটক করার ঘটনা। অগাস্ট ২০১৭ সালে সানাউল্লাহকে আটক করা হয়, এবং তাঁকে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল (এফটি) অবৈধ অনুপ্রেবেশকারী ঘোষণা করার পর রাখা হয় ডিটেনশন সেন্টারে। ট্রাইব্যুনালের কাছে তাঁর বয়ানে সানাউল্লাহ জানান, তিনি জম্মু কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাস-কবলিত এলাকায় কাজ করেছেন।
এবছরের ২৩ মে এফটি নং ২ কামরূপ (গ্রামীণ) তাঁকে বিদেশী হিসেবে চিহ্নিত করে। তাঁর পরিবার এবং উকিলের বক্তব্য, সানাউল্লাহর ভারতীয় নাগরিকত্ব অতি সহজেই প্রমাণ করা যায় তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে রক্ষিত নথি থেকে, এবং তাঁর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্ভিস রেকর্ড থেকে। বর্তমানে আসাম পুলিশের সীমান্ত বিভাগে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত সানাউল্লাহ, যে বিভাগের কাজ হলো রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করা।
সানাউল্লাহর আটক হওয়ার খবর নিশ্চিত করে কামরূপের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জীব সৈকিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "এফটি তাঁকে বিদেশী ঘোষণা করেছে, আমরা স্রেফ আইন ম এনে চলছি।"