মঙ্গলবার আনন্দপুর সাহিব এলাকায় জোরে গান চালানো নিয়ে বচসার জেরে খুন হতে হয় এক অনাবাসী ভারতীয়কে। জানা গিয়েছে নিহত যুবকের নাম প্রদীপ সিং। তিনি সেনা পরিবারের সদস্য। তার বাবা গুরবকশ সিং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। চলতি বছর মে মাসে অবসর নিতে চলেছেন তিনি। প্রদীপের কাকা গুরদিয়াল সিংও সেনাবাহিনী থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন।
নিহত প্রদীপ সিংয়ের কাকা গুরদিয়াল সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে প্রদীপ সিং দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করার পর ২০১৬ সালে কানাডায় চলে যান এবং সেখানেই পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন। প্রদীপের ছোট বোন কিরণবীর কৌরও কানাডায় থাকেন।গুরদিয়াল সিং আরও বলেন, প্রদীপ গত বছরের সেপ্টেম্বরে বোনের বিয়েতে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন, গুরদিয়াল সিং জানান “বিয়ের পর, প্রদীপ সিং আমাকে বলেছিলেন যে তিনি ট্যাটু শিল্পী হিসাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান।
কানাডায় বসবাসকারী প্রদীপের বন্ধু গুরদর্শন সিং বলেন তারা দুজনেই এই বছর ‘হোলা মহল্লা’ উদযাপন করতে আনন্দপুর সাহিব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গুরদিয়াল আরও বলেন, প্রদীপ ৪ঠা মার্চ তার বাইক নিয়ে নওয়াশহরের কাছে গুরদর্শনের বাড়িতে রাত কাটান, যেখান থেকে তারা দুজনেই আনন্দপুর সাহিবের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গুরদিয়াল সিং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “প্রদীপ আনন্দপুর সাহিবের গুরুদ্বারগুলি দেখতে চেয়েছিলেন, পথে যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে গান বাজানো নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে বচসা শুরু হয় একদল যুবকের। পরে হাতাহাতি শেষে ছুরি দিয়ে আঘাত করে প্রদীপকে হত্যা করা হয়”।
জেলার পুলিশ সুপার বিবেক শীল সোনি জানান, ‘ঘটনাটি সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটেছে। ঘটনার সময় প্রদীপের পরনে ছিল পঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের এক বিশেষ পোশাক। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় নিরঞ্জন দাস নামে এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ’।