জইশের হিটলিস্টে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জেরায় এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে জইশ জঙ্গি হিয়াদত-উল্লা মালিক। সম্প্রতি শ্রীনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই ডোভাল পাকিস্তানি ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হিটলিস্টে ঢোকেন।
জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানের বাসিন্দা হিয়াদতকে চলতি মাসের প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। জইশ-ই-মহম্মদের শাখা সংগঠন লস্কর-ই-মুস্তাফা-র প্রধান হিয়াদত। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় হিদায়ত বলেছ, ২০১৯-এর ২৪ মে শ্রীনগর থেকে বিমানে নয়াদিল্লিতে আসে সে। অজিত ডোভালের দফতর, বাড়ি এবং সেখানকার নিরাপত্তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। ভিডিওগ্রাফি করে সে। এমনকি কী ভাবে তাঁর ওপর হামলা চালানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে হিয়াদত রেকি করে।‘
রেকি শেষে বাস ধরে সে কাশ্মীরে চলে যায়। অজিত ডোভালের দফতর এবং বাসভবন সম্পর্কে যা যা তথ্য সংগ্রহ করেছিল হিয়াদত, তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানে ‘ডক্টর’ নামে এক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেয় বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
দিল্লির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গারও রেকি করে হিদায়ত। ওই বছরই আরও এক সহযোগী সমীর আহমেদ দারের সঙ্গে সাম্বা সেক্টরেও রেকি করে তারা। এই সমীর পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী। ২০২০-তে গ্রেফতার হয়েছে সে।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় হিদায়ত আরও স্বীকার করেছে, ২০২০-র মে মাসে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য তাকে একটি স্যান্ট্রো গাড়ি দেওয়া হয়। ওই বছরেরই নভেম্বরে আরও ৩ জইশ জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্কের একটি গাড়ি থেকে ৬০ লক্ষ টাকা লুঠ করে হিয়াদত। তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানের ১০ জনের নাম, কোড নম্বর, ফোন নম্বরও তাঁদের জানিয়েছে হিয়াদত। তাদের মধ্যে ২ জন সোপিয়ান এবং সোপোরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।